বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদকে শিগগিরই ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশে অত্যন্ত বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এই সম্পর্কের ওপর আস্থা রেখে বলতে পারি, যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যথা শিগগিরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক সেমিনারে সাংবাদিকদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
সম্পর্কিত খবর
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমি বার বার একটা কথা বলেছি, আমি আজকেও অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত বন্ধুসুলভ সম্পর্ক। আমাদের এই সম্পর্কের উপর আস্থা রেখে বলতে পারি- যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যথাশিগগির ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। আপনারা দেখেছেন ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধুর এক খুনিকে তারা ফিরিয়ে দিয়েছিল। এখন সেখানে চিহ্নিতভাবে একজন খুনি আছে। কিন্তু যেহেতু ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এই খুনির অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সে অনেক আইনি লড়াইয়ের মধ্যে চলে গিয়েছে। তবুও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সাথে আলোচনারত। তারা কিভাবে আইনিভাবে তাকে ফিরিয়ে দিতে পারে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। সাধারণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই মামলাটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমরা জানি, যারা আসামি তারা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন। তারা এ মামলায় কালক্ষেপণের চেষ্টা করছেন। তবু আমরা তাদের কালক্ষেপণ সত্ত্বেও এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই মামলার আসামিদের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দিচ্ছি।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস বক্তৃতা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।