৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইভা (১১) নামের এক ছাত্রীকে ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পটুয়াখালীর মহিপুর থানার সেরাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ শিশুটির সৎ মা সালমা বেগমকে রাতে আটক করে বুধবার দুপুর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে।

নিহত শিশুর চাচা মো. ইউসুফ ঘরামী জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত তার ভাই ইসমাইল ঘরামীর ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় মা সালামা বেগম দৌড়ে পাশের বাড়ি গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। তার ডাক ও চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলেও ইভাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঘরের দোতলায় বিবস্ত্র অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। এ সময় তার যৌনাঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখে দ্রুত কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

গ্রামের আবুল কালাম বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা ধারণা করছি। এলাকার মানুষের ডাকাত আতঙ্কে ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

ডা. আরিফুজ্জামান জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকার লোকজন রাত ৯টার দিকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামগুলোতেও। ঘটনার সময় নিহত শিশুটির বাবা ইসমাইল ঘটরামী ঘরে ছিলেন না।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এলাকায় ডাকাতের গুজব রয়েছে। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এটি এখনও স্পষ্ট নয়। মরদেহ পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ওএফ