মুষলধারে বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে নগরবাসী
মেঘে ঢাকা আকাশ, ক্ষনে ক্ষনে ঝিরি ঝিরি ও দমকা বৃষ্টি। তলিয়ে গিয়েছে নগরীর বেশ কিছু পথঘাট। রাজধানীর জনজীবনে দেখা দিয়েছে নাভিশ্বাস। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা আর যানজটে হাবুডুবু খাচ্ছে নগরবাসী।
সোমবার (২৩ জুলাই) ভোর থেকেই মেঘের অন্ধকারে ঢেকে যায় রাজধানী আকাশ। আর ঝরতে থাকে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি কনা।
সম্পর্কিত খবর
রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির এই কাণ্ড চলে দিনভর। বৃষ্টিতে মুহূর্তেই তলিয়ে যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ধানমণ্ডি, মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাক ও মিরপুরের বেশকিছু এলাকাসহ ফার্মগেটের মূল রাস্তাও। তবে সরকারি বন্ধ থাকায় পথে বেরুনো মানুষের সংখ্যা ছিল কম। কিন্তু যারাই ঘরের বাইরে বেরিয়েছেন তারাই নাকাল হয়েছেন জলজটে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো বরাবরের মতোই দুর্ভোগ পোহান। জলাবদ্ধতার কারণে পরিবহন সংকটেও পড়তে হয়েছে অনেককে।
মুষলধারে হওয়া এ বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। নগরীর অলিগলি থেকে শুরু করে মূল সড়কগুলোতেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এ কারণে নগরবাসীকে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।
আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুমে ঢাকায় সোমবার ৩৪ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। যা এ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি। তবে ঢাকার বাইরে বিকেল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কুমিল্লায়।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সাগরে নিন্মচাপ বিরাজ করছে। এছাড়া মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে। ফলে বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা মঙ্গলবারও থাকবে। এরপর কমে গিয়ে ২৭ জুলাই থেকে ফের বাড়বে। নিন্মচাপ থাকলেও সাগর উত্তাল নয়। ফলে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন এলাকার নদীবন্দরগুলোতে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত বলবৎ হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, সিলেট অঞ্চলে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। আর অন্যান্য অঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসের কোনো শঙ্কা নেই।
/এসএফ