• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

জার্মান তরুণীর ব্যাগ ছিনতাইকারীর গাড়ি সনাক্ত

প্রকাশ:  ১৯ জুন ২০১৮, ২৩:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভ্রমণপ্রিয় এই শিক্ষার্থী গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ফটোগ্রাফি শিখতে আর ছবি তুলতে। দেশভ্রমণ তাঁর প্রধান শখ। শখের বশে তিনি পর্বতময় মহাসড়ক পাড়ি দিয়েছেন। মরুপথে সাইকেল চালিয়ে হাজার মাইল পার হয়েছেন। কোথাও বিপদ হয়নি। বিপদে পড়লেন এই বাংলাদেশে এসে।

গত বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ছিনতাইকারীরা তাঁর ল্যাপটপের ব্যাগটি টান মেরে নিয়ে যায়। গত পাঁচ মাসের শ্রম ও সাধনা এক নিমেষে শেষ। ফলে নিঃস্ব অবস্থায় সুইন্ডেকে দেশে ফিরে যেতে হয়।

এদিকে, জার্মান তরুণীর ব্যাগ ছিনতাই হওয়ার ছয়দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ব্যাগ উদ্ধারে একইসঙ্গে পুলিশের বিশেষ একাধিক ইউনিটসহ থানা পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে ওই সড়কের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজ দেখে একটি সাদা প্রাইভেট কার শনাক্ত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি ছিনতাই মামলা করেন তিনি। মামলা নম্বর ১১। তারিখ ১৪ জুন ২০১৮। ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শুভঙ্কর রায় শুভ মামলাটির তদন্ত করছেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের বেশ কয়েকটি বিশেষিত ইউনিট মামলাটি তদন্ত করছে। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, শংকর থেকে রিকশা যোগে এলিফ্যান্ট রোডে তার বাসায় যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ছিনতাইকারীরা একটি প্রাইভেটকার ব্যবহার করেছে। এসময় জার্মান তরুণী রিকশায় ছিলেন। ওই তরুণী অভিযোগ করার পর অপরাধীদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও থানা পুলিশ তদন্ত করছে।’

প্রাইভেটকারে চালকসহ অন্তত তিনজন ছিনতাইকারী ছিল বলে পুলিশের ধারণা। গাড়িটির পেছনের জানালা থেকে ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে সিটি কলেজের দিকে চলে যায়। ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় এই দৃশ্য ধারণ হয়েছে। প্রাইভেটকারটি সাদা রঙয়ের। পুলিশ আশাবাদী শিগগিরই ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করতে তারা সক্ষম হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শুভঙ্কর রায় শুভ বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুত ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারবো। এর আগেও এমন একটি ঘটনা তদন্ত করে আমরা অপরাধীদের গ্রেফতার করেছিলাম।

জার্মান তরুণী অপরিমেয় দুঃখ ও বেদনা নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। আমরা তাঁর নিরাপত্তা দিতে পারিনি। সুইন্ডে বাংলাদেশে যে অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলেন, সেটি সারা জীবন তাঁর মনে ক্ষত হয়ে থাকবে। তিনি হয়তো আর কখনোই বাংলাদেশে আসবেন না। কিংবা তাঁর কাহিনি যাঁরা জানবেন, তাঁরাও বাংলাদেশকে অনিরাপদ ভাববেন। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে আমাদের লজ্জা আরও বাড়িয়ে দেবে। নানা কারণেই বিদেশি পর্যটকেরা বাংলাদেশে আসতে চান না। এ ধরনের অঘটন ঘটতে থাকলে তাঁদের সংখ্যা আরও কমে যাবে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশর ‘উঁচু মাথা’ও নিচু হয়ে যাবে।

জার্মান তরুণীর ব্যাগ,জার্মান তরুণীর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close