• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

জোসেফরা মুক্তি পায়, খালেদা মুক্তি পায় না: রিজভী

প্রকাশ:  ৩১ মে ২০১৮, ১৫:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে এখন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারের সহধর্মিনী ও তিনবারের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুক্তি পায় না আর শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে মুক্তি পায়।

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

রিজভী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যড়যন্ত্র মামলায় কারাভোগ করে এখন মৃত্যুর পথযাত্রী। আর অন্যদিকে দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফদের গোপনে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেন। তারা তাকে কখন বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলতে পারেন না। সরকার সারাদেশে প্রতিটি এলাকায় মাস্তানদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।

‘ভারতকে না চাইতে সব দিয়ে দিয়েছি’ প্রধানমন্ত্রীর একথার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ভারত আর শেখ হাসিনার প্রেম ইতোমধ্যে ইতিহাসের সব প্রেমকাহিনীকে হার মানিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ের ক্রসফায়ার নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে কেড়ে নিয়ে নিজের দখলে রেখেছেন। দেশে আইনের শাসনের বদলে শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসনের বাড়বাড়ন্ত চারদিকে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় বিচার বহির্ভূত হত্যার নামে অক্লেশে মেরে ফেলা হচ্ছে মানুষ। গডফাদাররা বেঁচে যাচ্ছে ক্ষমতার কানেকশন মজবুত থাকার কারণে। হত্যালীলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজনির্দেশ পালনে খুবই তৎপর। পুলিশ শেখ হাসিনার লাঠিয়াল, জনপ্রশাসন শেখ হাসিনার নায়েব-গোমস্তা, নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচন ঘোষণার মাইক্রোফোন এবং বিচার বিভাগের একচ্ছত্র প্রভুতে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা নিজেই। এমতাবস্থায় ন্যায় বিচার ও সুশাসন আওয়ামী সরকারের বিদ্রুপের পাত্রে পরিণত হয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল ইফতারীর পরপরই বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব গিয়াস কাদের চৌধুরীর চট্টগ্রামের পৈত্রিক নিবাসে একদল সশস্ত্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী আক্রমণ চালায়। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে গাড়ি ভেঙ্গে চুরমার করা ছাড়াও বাড়ির দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এই হামলাটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু সাদেক মো: সায়েমের নেতৃত্বে চালানো হয়। এতে অংশ নেয় চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ, হাজী মো: মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। এই হামলায় ২০টি ব্যক্তিগত গাড়ি ও নিরাপত্তা প্রহরীদের বাসাসহ মূল ভবনেও ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও তারা সেখানে দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এসময় সন্ত্রাসীরা বাসার সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়ান কাদের চৌধুরী ও খাইরুল কবির খোকন।

-আরএফ/একে

জোসেফ,খালেদা জিয়া,রুহুল কবির রিজভী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close