• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রায়ের পর করণীয় ঠিক করবে বিএনপি

প্রকাশ:  ২৮ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:৩২ | আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় দেখে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করারা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটি। এবিষয়ে আলোচনা করতে রোববার রাতে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক ডেকেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এছাড়া রায় নিয়ে আড়াই বছর পর দলের নির্বাহী কমিটির সভা ডেকেছেন বিএনপি প্রধান। আগামী সপ্তাহের যে কোনো দিন এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রায়ের আগে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক আবার অনুষ্ঠিত হবে।ওই বৈঠকেই করণীয় চূড়ান্ত করা হবে।

সম্পর্কিত খবর

    শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে রাত সোয়া ৯টা থেকে টানা আড়াই ঘণ্টার স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

    স্থায়ী কমিটির সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া নিজে এবং আইনজীবীরাও মনে করেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মামলায় সাজা হওয়ার মতো তথ্য-প্রমাণ নেই। ফলে আদালতের অবস্থান কী, তা পরিষ্কার হতে চায় বিএনপি। রায় দেখেই পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সাজা হলে আইনজীবীরা দ্রুত উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানায় সূত্রটি।

    তবে অপর সূত্র জানায়, দলের স্থায়ী কমিটি, নির্বাহী কমিটি ও ২০ দলীয় জোট নেতাদের সাথে বৈঠক করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ চূড়ান্ত করা হবে। রায় বিপক্ষে গেলে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।

    তবে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি নেতারা একমত হন, বেগম জিয়াকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করবে।

    বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে সিনিয়র নেতারা রায় নিয়ে সরকারী দলের নেতাদের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন। তারা এও বলেন, রায় বিপক্ষে না যাবার সম্ভবনা বেশি। তবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে বিশ্বাষ নেই। তারা গায়েবি নির্দেশ দিলে আদালতের করার কিছু থাকবে না।

    সূত্র আরো জানায়, খালেদা জিয়ার মতো জনপ্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে রায়ে সাজা দেয়া হলে। সারাদেশের জনগণ বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। এটা মাথায় রেখেই সরকার এগুবে।

    কঠোর কর্মসূচি দেয়া যায় কিনা সেটা নিয়েও আলোচনা হয়।

    বৈঠকের মাঝপথে এসে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গোটা জাতি আজ উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ। আমরা মনে করি, এটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য এবং সবার অংশগ্রহণে ইনক্লুসিভ ইলেকশন নষ্ট করার জন্য এটি একটা গভীর ষড়যন্ত্র। জাতীয় স্থায়ী কমিটি আজকের সভা থেকে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কয়েকজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে সরকারের আইন-আদালতের নিয়মনীতির বিরুদ্ধ আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে বিচারের নামে সরকারি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে স্থায়ী কমিটি।’ কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে কি না— প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা জানাব রায় ঘোষণা হওয়ার পর। পুরো বিষয়টা আমরা আবার জানাব রায় ঘোষণা হলেই।’ তিনি বলেন, ‘২৫ জানুয়ারি বিশেষ জজ আদালতে বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য হঠাৎ সমাপ্ত করে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের উপস্থিত প্রবীণ আইনজীবীদের মতে, এমন ঘটনা শুধু অস্বাভাবিক ও অপ্রত্যাশিত নয়, রহস্যজনক। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও আমাদের চেয়ারপারসনকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখার জন্য দ্রুত রায় ঘোষণা সেই অপচেষ্টার অংশ বলেই দেশবাসী মনে করে।’

    আরআর

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close