বিড়াল যখন দোকানদার
বিড়াল একটি গৃহপালিত প্রাণী। বিড়াল মাছ-ভাত আর দুধ খায়। বিড়াল সম্পর্কে আমরা শুধু এটুকুই জানি। কিন্তু আমরা কী জানি বিড়াল আরো অনেক কিছুই করতে পারে। এমন কি একটি দোকানও চালাতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছে না তাই তো? তবে অবিশ্বাস্য হলেও এটাই কিন্তু সত্য। আজ আপনাদের এমন একটি বিড়ালের সন্ধান দেব। যে একটি দোকানের দোকানদার।
ওর নাম বেবো। বয়স নয় বছর। তবে বেবো খুব দায়িত্ববান। গোটা একটা দোকানই পরিচালনা করতে হয় তাকে। জন্মের কয়েকদিন পর থেকে এই দোকানেই বেড়ে উঠেছে সে। নিউইয়র্কের চায়না টাউনের একটি মাল্টি গুডস স্টোরের দোকানদার সে।
সম্পর্কিত খবর
বেবোর বয়স মাত্র সাতদিন। তখন তাকে এই দোকানে এনেছিল এখানকারই একজন কর্মচারী। এরপর সেই লোকটি মারা গেলেও বোবো কিন্তু সেই দোকান ছেড়ে চলে যায়নি। নয় বছর ধরে কাজ করছে এই দোকানে। অবাক করা ব্যাপার হলো নয় বছরে একদিনের জন্যও ছুটি নেয়নি বোবো। আর বেতন? না, সেটারও কোনো দরকার পড়ে না তার।
আরো অবাক করা ব্যাপার হলো মাস গেলে মাইনে না মিললেও কাজে কোনো ফাঁকি নেই তার। রোজ সকালে দোকান খোলে সে। তারপর শুরু হয়ে যায় তার চরম ব্যস্ততা।
বেবো প্রতিদিন ‘গুড বয়’ হয়ে বসে থাকে দোকানের সামনের দরজায়। প্রত্যেকটি কাস্টমারকে নিজস্ব ভঙ্গিমায় অভিবাদন জানায় সে। মানুষের সব কথা বুঝতে পারে। ক্রেতারা যা বলে তাই করে বেবো। কার কী লাগবে তা শোনার পর ক্রেতাকে তার প্রয়োজনীয় সামগ্রীটির সামনে নিয়ে যায় সে।
গোটা দোকানেরই দেখভাল করে বেবো। শুধু কী তাই? কেউ দোকান থেকে কিছু চুরি করছে কি না, বা সেলফি তুলছে কি না সবকিছুই খেয়াল রাখে।
নিজের অপছন্দকে বুঝানোর অদ্ভুত কৌশল ব্যবহার করে বেবো। কিছু অপছন্দ হলেই লোম ফুলিয়ে বুঝিয়ে দেয় তার অপছন্দের কথা।
বেবোর খু্ব কাছের বন্ধুর নাম অ্যানি। অ্যানি এই দোকানেরই আর এক কর্মী। এই বন্ধুর কাছ থেকেই সবকিছু শিখেছে বেবো। এখন অ্যনির তত্ত্বাবধানেই বেবো এই দোকান চালায়।
শুধু দোকান চালালেই হবে! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও তো ব্যবহার করতে হবে। আর তাই ‘লাভ মিয়াও’ নামে একটি ব্লগ রয়েছে বোবোর। এছাড়া রয়েছে ‘ট্যাবিথবোবো’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও। তবে বোবোর হয়ে অবশ্য তার সোশ্যাল মিডিয়া দেখভাল করেন অ্যানি।
/আরকে