অন্তর্বাসে লেইস থাকায় ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ!

লেইস লাগানো অন্তর্বাসের কারণে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আয়ারল্যান্ডের কর্কের আদালত। ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার বিচারে এ রায় দেন আদালত।

আসামী পক্ষের আইনজীবী এলিজাবেথ ও'কনেল উঠে দাঁড়িয়ে এক অদ্ভুত যুক্তি দিলে এই রায় দেন আদালত। ওই আইনজীবী আদালতকে বলেন, আপনাকে দেখতে হবে সে কীরকম পোশাক পরে ছিল। এ সময় একটি লেইস লাগানো অন্তর্বাস দেখিয়ে আদালতকে বলেন, এই অন্তর্বাসটি ধর্ষিতা পরে ছিলেন।

এর পর প্রায় দেড় ঘণ্টা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ১২ জনের জুরি প্যানেল অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা করে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিও এ সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ওই কিশোরীর সাথে সম্মতির ভিত্তিতেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তারা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, আদালতের রায়ের পর আয়ারল্যান্ড জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। কীভাবে একটি অন্তর্বাসকে তুলে ধরে আদালত থেকে আসামীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

আয়ারল্যান্ডের রাস্তায় প্রতিবাদীরা বলছেন, তবে কী আদালত এটা প্রমাণ করল যে মেয়েটির পোশাকের জন্যই তাকে ধর্ষিত হতে হয়েছিল। এখানে কী দোষ মেয়েটির? জনগণের প্রশ্ন, একটি অন্তর্বাস দেখে কী করে আদালত একজন ধর্ষককে বেকসুর খালাস দিতে পারে?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারেও এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করছে দেশটির জনগণ। ওরলা ও’কনোর নামে ডাবলিনের এক প্রতিবাদকারী তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, কোনো পোশাকের ভিত্তিতে সম্মতি ছিল কি ছিল না, তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। আমাদের অন্তর্বাস যৌনতার সম্মতি দেয় না। সম্মতি দিই ‘ব্যক্তি’ আমি।

আয়ারল্যান্ডের সংসদেও আইন প্রণেতারা এ বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। সাংসদ রুথ কপিনঙ্গার পার্লামেন্টের মধ্যেই একটি অন্তর্বাস তুলে ধরে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, আক্রান্তদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে এই বিচারের মাধ্যমে।

/আরিফ