হংকংয়ের দ্রুতগামী রেল নিয়ে বিতর্ক যে কারণে
চীনের মেইন-ল্যান্ডের সাথে যুক্ত হতে যাওয়া খুব দ্রুত গতির ট্রেন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক্সপ্রেস রেলটি হংকং এর সাথে চীনের দক্ষিণের শহর গুয়ানঝু তে যেতে মাত্র ৪০ মিনিট লাগবে।
আগে যে ট্রেনে যাতায়াত করা হত তার চেয়ে অর্ধেকের কমসময় লাগবে। চীনের কর্তৃপক্ষ স্টেশনে যৌথ চেকপোস্ট পরিচালনা করতে পারবে এমনকি ট্রেনের মধ্যেও সেটা করতে পারবে।
সম্পর্কিত খবর
কিন্তু এই ট্রেনটি উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ প্রথম বারের মত চীনের অপরাধ বিষয়ক আইনটি হংকং এ কার্যকর করার দিন চালু করা হচ্ছে।
সমালোচকরা বলছেন এটা হংকং এর স্বাধীনতা এবং মিনি-কন্সটিটিউশনের লঙ্ঘন করছে। ট্রেনটি শনিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়।
একজন স্থানীয় আইন প্রণেতা এটাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, এই বুলেট ট্রেনে করে গুয়ানঝু তে যাত্রা ছিল "খুব নীরব মনে হয়েছে যেন আমি প্লেনে করে যাচ্ছি"।
সরকার বলছেন এই রেল যোগাযোগ হংকং, শেনঝেন এবং গুয়ানঝুর মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে।
ট্রেনটি সাধারণ মানুষের জন্য আজ রোববার থেকে চালু করা হবে। একই সাথে মেইন ল্যান্ড চায়নার বাকি অংশ অংশ এবং রাজধানী বেইজিং সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে।
এদিকে গনতন্ত্রপন্থী আইন প্রনেতারা এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। এমনকি তারা স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ করেছে। তাদের বক্তব্য এই রেল লিঙ্ক হংকং এর স্বাধীনতার আইনি প্রক্রিয়াকে ছোট করবে।
হংকং এক সময় ব্রিটিশ কলোনি ছিল। ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয় কিন্তু কিছু শর্ত দিয়ে। সেই চুক্তির মধ্যে ছিল হংকং উচ্চ ক্ষমতার স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে শুধুমাত্র বৈদেশিক এবং প্রতিরক্ষা বিষয় ছাড়া।
সেটাও ৫০ বছরের জন্য। এরফলে যেটা হয়েছে, হংকং এর নিজেদের আইন আছে, তাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা রক্ষার করার জন্য সেগুলো ব্যবহার করা হয়। আর মেইন-ল্যান্ড চাইনার বেশিরভাগ আইন এখানে প্রয়োগ করা যায় না।
নতুন এই ট্রেনটি চালু করার ফলে প্রথমবারের মত চীনের কর্তৃপক্ষ চীনের আইন হংকং এর স্টেশনে এবং ট্রেনে প্রয়োগ করতে পারবে। চীনের শীর্ষ আইনপ্রনেতারা বলছেন এটা হংকং এর স্বায়ত্তশাসনের ওপর কোন হস্তক্ষেপ করবে না।
এদিকে হংকং এর বার অ্যাসোসিয়েশন সমালোচনা করে বলেছে, এটা হংকং এর মিনি-সংবিধানকে লঙ্ঘন করবে। এই রেল প্রকল্প নিয়ে আরো সমালোচনা রয়েছে যে, তিন বছর দেরিতে কাজ শেষ হওয়ার কারণে ৩ বিলিয়ন ডলার বাড়তি খরচ হয়েছে।
/এসএম