মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে পুলিশের জালে তান্ত্রিক বাবা

গোপনেই নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন তান্ত্রিক বাবা। কিন্তু পুলিশে খবর দিয়ে দেন প্রতিবেশীরা। আর তাতেই ক্ষেপে লাল ওই ব্যক্তি। চড়াও হন প্রতিবেশীদের উপরে।

অভিযোগ, বচসা চলাকালীন এক প্রতিবেশীর আঙুল কামড়ে এবং একজনের মাথা ফাটিয়ে, দু’জনকে জখম করেছে সে। ইতিমধ্যে তান্ত্রিককে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৭ জুন) রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারতের চুঁচুড়ার রায়বাজার কলোনী এলাকা। ধৃত তান্ত্রিকের নাম নিতাই শীল।

অভিযোগ, সকলের অগোচরেই রোববার নিজের ১৪ বছরের মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিল সে। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই চাইল্ড হেল্প লাইনে খবর দেন প্রতিবেশীরা। খবর পৌঁছায় চুঁচুড়া থানাতেও। আইনবিরুদ্ধ বিয়ে বন্ধ করার জন্য তৎপর হয় পুলিশ। অভিযান চালানো হয় রায়বাজার কলোনী এলাকায়। বিয়ে থামিয়ে তারা উদ্ধার করেন অষ্টম শ্রেণির ওই নাবালিকাকে।

প্রতিবেশীরা জানান, সম্পূর্ণ ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য তান্ত্রিক নিতাইয়ের বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন তারা। তাদের দেখেই প্রথমে বচসা শুরু করে দেয় তান্ত্রিক নিতাই। এরপরেই তাদের উপর চড়াও হয় সে। প্রথমে সত্য দাস নামে এক ব্যক্তির আঙুল কামড়ে রক্ত বের করে দেয়। তারপরেই কমল দে নামে আরও এক ব্যক্তিকে মারতে থাকে। মাথা ফেটে যায় ওই ব্যক্তির। ঘটনায় তান্ত্রিকের বাড়িতে পালটা চড়াও হন উত্তেজিত এলাকার মানুষ।

ঘটনায় ইতিমধ্যেই, তান্ত্রিক নিতাই শীল, হবু জামাই ও তার পরিবারের লোকদের আটক করেছে পুলিশ।