পুলিশের ওপর হামলা, বিএনপির ৩৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
পুলিশকে মারধর ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগে ৩৫০ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা বিএপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত তিনশ জনকে অভিযুক্ত মামলা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
ভৈরব থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) বাহালুল আলম খান জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শহরের চন্ডিবের এলাকায় উপজেলা বিএনপি একটি নির্বাচনী কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে উদ্ধত ঘটনায় পুলিশের ৩ সদ্যসকে মারধর ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারে অভিযোগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের এসআই অভিজিৎ চৌধুরি ।
পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়েছে। পুলিশি অভিযানে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শহরের চন্ডিবের এলাকায় একটি নির্বাচনী কর্মীসভা করছিল বিএনপি। এ কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের এস আই অভিজিৎ, পুলিশ কনস্টেবল আবদুল হাকিম, কনস্টেবল আবদুর রহমানসহ মোট ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
এ সময় ৫ থেকে ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। এছাড়াও রাত ৯টায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা উপজেলা বিএনপির ভৈরব বাজারের ডাইলপট্টিস্থ অফিস ভাংচুর করেছে বলে জানায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার রাত ৭টার দিকে ভৈরব পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের চন্ডিবের মধ্যপাড়া এলাকায় নির্বাচনী কর্মী সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবলীগ সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক অভিজিৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের ৪ জন আহত হন। উভয় পক্ষের মারমুখী অবস্থানের কারণে এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনিসুজ্জামান।
এদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম দাবী করেন, তারা ওই এলাকার একটি বাড়িতে নির্বাচনী উঠান বৈঠক করার সময় পৌর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে তিনিসহ ৪ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ছাড়া দলের কর্মী-সমর্থকদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, রেঁস্তোরায় ও দলীয় অফিস হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর যুবলীগের সভাপতি মো: ইমরান হোসেন ইমন জানান, তিনি তার কয়েক নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন ওই পথে। তাদেরকে দেখা মাত্রই বিএনপি সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ তার ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি জানান ভৈরব বাজারের রেস্তোরা ও বিএনপি অফিস আমরা ভাংচুর করেনি ।
/পি.এস