• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

নারায়ণগঞ্জে ৪০ পরীক্ষার্থীর খাতা আটকা

৩ দফা দাবীতে প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশ:  ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৪১
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জে মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষায় ৪০ পরীক্ষার্থীর খাতা আটকে রাখাসহ লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তিন দফা দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ভূক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে গিয়ে তারা এ স্বারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনা নিয়ে গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনায় আসে। অসংখ্য ব্যক্তি এই সংবাদটি শেয়ার করা সহ পোস্টাদাতারা এই সংবাদটি প্রচারের জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে উপস্থিত ভূক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে নিয়ে কটুক্তির জন্য অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া, তাকে চাকুরি থেকে অপসারণ ও কেন্দ্র বাতিল করে পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবীতে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই তিন দফা দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন পরীক্ষার্থীরা।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক দু:খ প্রকাশ করে জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে শীঘ্রই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযোগ প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

গত ১৩ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টাসের শেষ বর্ষের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ সহ বিভিন্ন কলেজের পরীক্ষার্থীরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। পরীক্ষা শুরুর সাথে সাথেই উপকেন্দ্র নিয়ন্ত্রক ও সরকারি মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন হলে প্রবেশ করে মোবাইল ফোন সাথে রাখা ৪০ পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র কেড়ে নিয়ে পরীক্ষা চলাকালীন প্রায় চার ঘন্টা আটকে রাখেন। পরীক্ষার্থীরা ক্ষমা চেয়ে উত্তরপত্র ফেরত দেয়ার অনুরোধ করলে ওই কলেজ শিক্ষক দুই শিক্ষার্থীকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা সহ কয়েকজন ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেন। ওইদিন থেকে পরীক্ষার্থীরাসহ দুই সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের স্থায়ী অপসারণ ও পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবীতে তিনদিন যাবত আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

/এসএফ

নারায়ণগঞ্জ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close