তীব্র গ্যাস সংকটে ধামরাইবাসী
ঢাকার অদুরে ধামরাই উপজেলায় গ্যাসের লাইন থাকলেও সরবরাহ না থাকায় গ্যাসের চুলার পাশে মাটির চুলা বসাচ্ছেন বাড়ির মালিকরা। পৌর শহরের বরাত নগর এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে ঘুরে দেখা যায় গ্যাসের চুলার পাশে ঠাই পেয়েছে মাটির চুলা। মাঝে মাঝে গ্যাসের এমন বৈরি আচরনে ক্ষুদ্ধ হয়েই যেন বাড়ির মালিকদের এমন ব্যবস্থা।
রোববার (১১ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। বিশেষ করে ধামরাই পৌর সভা ও উপজেলা সদর, কালামপুর, গোয়ালদী, বাটুলিয়া, বাসনা, মহিশাষী, কাওয়ালিপাড়া, নান্দেশ্বরীসহ কয়েকটি এলাকায় এ গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ এলাকাসহ আশপাশের এলাকা গুলোতে গ্যাস সংকট যেন লেগেই আছে।
সম্পর্কিত খবর
আর কয়েক দিন ধরে গ্যাস না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিল্প, বাণিজ্যিক ও আবাসিকের প্রায় ছয় হাজার গ্রাহক। সকাল ৬টার দিকে গ্যাস চলে যায় এবং তা আসে রাত ৯টার পর। অধিকাংশ আবাসিক গ্রাহকই মাটির চুলা তৈরি করে রান্না করছেন। আর গেল সপ্তাহে কখন গ্যাস ছিল তা যেন ভাগ্যবান রাধুনীরাই জানতেন। কারণ হিসেবে গ্রাহকরা বলছেন তিতাসের মন ভাল খারাপের ওপরই নাকি নির্ভর ছিল গ্যাস থাকা না থাকা। যা নিয়ে বিরক্ত সবাই।
শীতে এ অঞ্চলের গ্যাসের অবস্থা থাকে করুন। এবার শীত না আসতেই যেন সেই অবস্থা ঠাই হয়ে দাড়িয়েছে গ্রাহকদের সামনে। বিশেষ করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর।
এ বিষয়ে পৌর শহরের বরাত নগর এলাকার গৃহিনী ছুনিয়া আক্তার বলেন, গ্যাস না থাকার কারেনে দিনে একবার রান্না করে তিন বেলা খাই। আবার কোন কোন দিন এক বেলাও রান্না করা যায় না। ছেলে মেয়েদের রান্না করে খাওয়ানো দায় হয়ে পরেছে। তাই বাধ্য হয়ে মাটির চুলা তৈরি করে রান্না করতে হচ্ছে। শুধু রান্নার ভোগান্তি নয়? টাকারও ভোগান্তি।গ্যাস না পেলেও প্রতি মাসে গ্যাস বিল ঠিকিই দেওয়া লাগছে।এই ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই।
তবে তিতাস কর্তৃপক্ষকে এ পরিস্থিতির জন্য দায়ি করলেও এমন পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানের কোন সু- সংবাদ দিতে পারেনি তারা।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন মানিকগঞ্জ অফিসের উপ-ব্যবস্থাপক আতিয়ার রহমান বলেন, মেইন পাইপলাইনেই গ্যাসের তীব্র সংকট রয়েছে। আমরা গ্যাস পাবো কোথায় থেকে।
তিনি আরও বলেন, এ গ্যাস সংকটের কথা জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হবে।
/এসএফ