• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

১৫ বছর পর চালু হচ্ছে রাঙামাটি শিশু পার্ক

প্রকাশ:  ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:৩২
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

দীর্ঘ ১৫ বছর পর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে আবারো চালু হতে যাচ্ছে রাঙামাটি শিশু পার্ক। ২০০৩ সালে পার্কের ভেতরে তৎকালীন পৌর মেয়র কমিউনিটি সেন্টার নির্মানের উদ্দ্যোগ নিয়ে পার্কটি বন্ধ করে দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেন।

পরিবেশবাদী সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজ ও বেলা উচ্চ আদালতে মামলা করে। দীর্ঘ শুনানীর পরে শিশু পার্ক তৈরির পক্ষে মামলার রায় দেয় আদালত। ২০১৪ সালে পার্কে নির্মাণাধীন স্থাপনা অপসারণ কারা হয়। এরপর দীর্ঘদিন অযত্মে অবহেলায় পরে ছিল এই পার্ক, সম্প্রতি পার্কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন।

সম্পর্কিত খবর

    বৃহস্পতিবার সকালে শিশু পার্কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করতে এসে জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, আগামী দুই এক মাসের মধ্যে দৃশ্যমান হবে শিশু পার্কের উন্নয়ন কাজ। তার পরই সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে পার্কটি। প্রাথমিক পর্যায়ে এতে প্রবেশে কোন টিকেট কাটতে হবে না বলে জানান তিনি।

    তিনি আরও জানান, এই পার্কটিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ফুলের বাগান, শিশুদের জন্য খেলনার কিছু সরঞ্জাম, আলোর ব্যবস্থা, রাস্তার ব্যবস্থা এইগুলো হলেই আমরা পার্কটি চালু করে দিব।

    পরবর্তীকালে আমরা পার্কটি ঘিরে বৃহৎ পরিকল্পনার দিকে যাব। ধীরে ধীরে এটিকে একটি আধুনিক পার্কে রপান্তর করা হবে, যাতে পার্কটি সব বয়সের মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

    এছাড়াও তিনি পার্কের নিকটবর্তী কাপ্তাই লেকের দ্বীপটি আবারো অবৈধ দখল মুক্ত করার ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

    পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুজিবুল হক জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের জন্য কিছু রাইডের ব্যবস্থা, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, মাটি ভাঙ্গন রোধে কিছু বাউন্ডারি পিলারের ব্যবস্থা করে পার্কটি চালুর ব্যবস্থা করছি। পরবর্তীতে মাস্টার প্ল্যান করে সেই মোতাবেক কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব, এই শহরে কোন শিশু পার্ক নেই, তাই পার্কটা সুন্দর করে গড়ে তুলতে চাই। তিনি আরও বলেন এই পার্কের উন্নয়নে আমাদের বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বেশ আন্তরিক। এবছরই প্রায় ২ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যা পার্কে বিভিন্ন রাইডের জন্য ব্যবহার করা হবে।

    শহীদ আব্দুল আলী একাডেমীর ৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী ময়ূরী বলেন, পার্কটি চালু হলে আমরা এখানে এসে খেলা করতে পারবো, অবসরে ঘুরতে আসতে পারবো। আমরা অনেক মজা করতে পারবো।

    দীর্ঘদিন পর হলেও পার্কটি চালুর মাধ্যামে শিশুদের যেমন মানসিক বিকাশ ঘটবে, তেমনি কিশোরদের মাদক দ্রব্য সেবনের স্থান হিসেবে স্থানটি আর ব্যবহার হতে পারবে না বলেও আমি মনে করি বলে জানান, পর্যটন কর্মী সুমন দাশ।

    এছাড়াও তিনি বলেন, প্রতি বছর এই শহরে প্রচুর পর্যটক ভীড় করে, তাদের এই পার্কটি আকর্ষণ করবে বলে আমি মনে করি।

    ওএফ

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close