• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইলিশ ধর‌তে গি‌য়ে নি‌খোঁজ ২ জেলের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ:  ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২৭
শরীয়তপুর প্র‌তি‌নি‌ধি

শরীয়তপুরের জাজিরার পালেরচর এলাকার পদ্মা নদী থেকে দুই জে‌লের মরদেহ উদ্ধার করে‌ছে পু‌লিশ। বৃহস্পতিবার ‌বিকা‌লে তা‌দের মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে জা‌জিরা থানা পু‌লিশ।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে দুই স্পীডবোটে সংঘর্ষে নি‌খোঁজ হয় নাওডোবা নকরি মাদবরকান্দি গ্রামের শুকুর মোল্যার ছেলে ইলিয়াছ মোল্যা (৩৫) ও মোল্যার কান্দি গ্রামের ওহাব চোকদারের ছেলে আব্দুল খালেক (৫০) না‌মের দুই জে‌লে।

জাজিরা থানা ও জেলেদের পরিবার সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে পৈলান মোল্যার কান্দি গ্রামের হারুন খানের ও মালেক খানের স্পীডবোটে করে কয়েক জন জেলে পদ্মা নদীতে ই‌লিশ মাছ শিকারে যায়। রাত ১১টার দিকে পূর্ব নাওডোবা এলাকায় পদ্মা নদীতে বোট দুটি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তখন বোটে থাকা ১৬ জন জেলে পানিতে পরে যায়। এর ম‌ধ্যে ১৪ জন পা‌ড়ে উঠতে পারলেও ইলিয়াছ ও খালেক নিখোঁজ হন। তাদের নিখোঁজ থাকার বিষয়ে ইলিয়াছ মোল্যার চাচা মোতাহার মোল্যা বুধবার জাজিরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

এরপর বৃহস্পতিবার বিকা‌লে পালেরচর এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে মর‌দের দেখ‌তে পে‌য়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। প‌রে পুলিশ গি‌য়ে তা‌দের মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ইলিয়াছের বাবা শুকুর মোল্যা বলেন, আমার ছেলে মাছ শিকার করে না। কিন্তু হারুন খান লোভ দেখিয়ে তার স্পীডবোটে মাছ শিকারের জন্য রাতে পদ্মায় নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরও তাদের খোঁজেনি। ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করার মতো অপরাধ করেছে। আমি তাদের বিচার চাই।

উল্লেখ্য যে, শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়ায় পদ্মা নদীতে দ্রুতগতির নৌযান স্পীডবোট ব্যবহার করে ইলিশ মাছ শিকার করা হচ্ছে। এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জেলেদের ভাড়ায় নিয়ে স্পীডবোট দিয়ে মাছ শিকার করাচ্ছেন। আবার কিছু জেলে স্পীডবোট ভাড়া নিয়ে মাছ শিকার করছেন।

জাজিরা থানার উপ-পরিদর্শক মো.ইকবাল হোসেন বলেন, রাতের আধারে মাছ শিকার করার সময় স্পীডবোট দুর্ঘটনায় দুই জেলে নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার পদ্মা নদীর চর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি জিডি হয়েছে, যদি মামলা হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওএফ

মরদেহ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close