• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মণিরামপুর হাসপাতাল চলছে উপ-সহকারী দিয়ে, খবর নেই চিকিৎসকদের

প্রকাশ:  ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৪
যশোর প্রতিনিধি

যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়েছে। এলোমেলো ভাবে চলছে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজন চিকিৎসক নিয়োগ থাকলেও ঠিকমত কর্মস্থলে আসেননা কেউ। তাদের পরিবর্তে হাসপাতাল চলছে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) দিয়ে।

আর হাসপাতালের এমন চিত্র দৈনন্দিন হলেও এই ব্যাপারে প্রশাসনের নেই কোন তৎপরতা। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রুগী ও তাদের স্বজনরা পড়ছেন চরম বিপাকে। নামমাত্র চিকিৎসা নিয়ে তাদের ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে।

সম্পর্কিত খবর

    রোববার বেলা ১২টার দিকে সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন কক্ষে অন্তত সাতজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গেছে। এসময় কোন মেডিকেল অফিসারের দেখা মেলেনি। যদিও হাসপাতালে রাজিবকুমার পাল, অনুপকুমার বসু, আহম্মেদ আল-মারুফ, জেসমিন সুমাইয়া ও মাহমুদা আক্তার এই পাঁচজন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

    বেলা ১২টা ২০ মিনিটে বহিঃবিভাগে টিকেট কাউন্টারে খবর নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৩০০জন রুগী কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করেছেন। আর ২ নম্বর কক্ষে বসে এসব রুগীদের সেবা দিচ্ছেন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মেহেদী হাসান, ৬নম্বর কক্ষে জিএম মাসুদ ও আনিছুর রহমান, ১০ নম্বর কক্ষে আলেক উদ্দিন, ১৩নম্বর কক্ষে আফসানা ফেরদৌস ও শিউলি আরা বেগম। যদিও এসব উপ-সহকারীদেরকে বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার কথা। একটু এগিয়ে দেখা দেখা যায়, ৪ নম্বর কক্ষের সামনে ২০-৩০ রুগী টিকিট হাতে দাঁড়িয়ে আছেন, ভেতরে ডাক্তার নেই। রোগীদের সাথে সেখানে বসে আছেন ওষুধ কোম্পানীর একজন প্রতিনিধি। খবর নিয়ে জানা যায়,ওই কক্ষে রুগী দেখছেন ডাক্তার রাজিব পাল। রোগী ফেলে তিনি বাইরে গেছেন।

    জানতে চাইলে ছকিনা বেগম নামে এক বয়বৃদ্ধ নারী বলেন,‘তিনি ২ঘন্টা ধরে অপেক্ষায় আছেন, ডাক্তার পাননি।’ একই কথা জানান,টিকিট হাতে দাঁড়িয়া থাকা অন্তরার স্বজনরা।

    এদিকে কিছুক্ষণ পরে চেম্বারে আসেন ডাক্তার রাজিব পাল। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জরুরী বিভাগে ইমারজেন্সি রোগী থাকায় তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।’

    জানতে চাইলে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) জিএম মাসুদ বলেন,‘কি করব! হাসপাতালে ডাক্তার নেই, তাই আমাদের ওপর এতচাপ।’

    এদিকে জরুরি বিভাগে খবর নিয়ে জানা গেছে, সেখানে তৌহিদুল হাসান নামে একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার রয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘এখন ডিউটি ডাক্তার রাজিব পালের। তিনি কিছুক্ষণ আগে বহিঃবিভাগে গেছেন।’ জরুরি প্রয়োজনে তাকে ডেকে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তৌহিদুল হাসান। আর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চেম্বারে তালা মেরে হাসপাতাল ছেড়েছেন গাইনী বিশেষজ্ঞ রেবেকা সুলতানা। যদিও দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে থাকার কথা।

    জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন,‘ হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। পাঁচজন চিকিৎসকের মধ্যে রাজিবপাল ডিউটিতে আছেন। সকালে জেসমিন সুমাইয়া আসার কথা ছিল কিন্তু তার বাচ্চা অসুস্থ হওয়ায় আসতে পারেননি। ডাক্তার আহম্মেদ আল মারুফ রাতে ডিউটি করেছে বলে দিনে তার অফ। রাতে অনুপবসু আসবেন।’ আর ডাক্তার মাহমুদা আক্তার ছুটি নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানান শুভ্র দেবনাথ।

    ওএফ

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close