‘যদি মসজিদে আজান দেছ, মাইরা কুমিল্লা পাঠাই দিবো’
ঢাকার ধামরাইয়ে রোয়াইল ইউনিয়নের ফড়িংগা গ্রামে মসজিদের ইমাম আযান দেওয়ায় ঐ ইমামকে মারধর করে মসজিদের মেম্বার ও জানালাসহ আসবাব পত্র ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদ কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
গত বুধবার (২৬সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ফজরের নামাজের পরপর এই ঘটনা ঘটেছে।
সম্পর্কিত খবর
ভুক্তভোগী ইমাম হাজী মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি আজ সকালে মসজিদে আযান দিলে ঐ গ্রামের বর্তমান মেম্বার মোঃ সারুয়ার মোল্লা এসে আমাকে এলোপাতারি ভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকে তখন আমি চিৎকার করলে অন্যান্য মুসলিরা এগিয়ে আসলে মেম্বার সরুয়ার মোল্লা দৌঁড়িয়ে পালিয়ে যায়।
তার সাথে থাকা বাহিনীরা মসজিদের মেম্বার ও জানালাসহ আসবাব পত্র ভাংচুর করতে থাকে এই সময় লোকজন এগিয়ে আসলে তারা ও দৌঁড়িয়ে পারিয়ে যায়।
পরে ঐ গ্রামের লোকজনের কাছে ইমাম সাহেব বলেন, আমার বাড়ি কুমিল্লা আমি এখানে জায়গা কিনে বাড়ি করে আছি আমার কি দোষ আমাকে সে আযথা মারধর করল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করি এলাকাবাসীর কাছে।
মোহাম্মদ আলী বলেন, সারুয়ার আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছিলো, তুই যদি মসজিদে আযান দেছ, তোরে মাইরা কুমিল্লা পাঠাই দিবো।
এই ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি সাবেক মেম্বার মোঃ ইয়াকুব আলী বলেন, আমরা সকালে ফযরের নামাজ পড়তে আসলে ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে এগিয়ে এসে দেখি মেম্বার সরুয়ার মোল্লাু ইমাম সাহেবকে মারধর করে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায় এবং কয়েকজন লোক মসজিদের মেম্বার ও জানালাসহ আসবাব পত্র ভাংচুর করে পালিয়ে যায়।
এই ব্যাপারে মসজিদের জমি দাতা মোঃ পরমানিক বলেন, আমারা মসজিদ তৈরি করার সময় থেকে মেম্বার সরুয়ার মোল্লা মসজিদ বিরুদ্ধে কথা বলতে থাকে। লোকদের কে বলে ঐখানে ব্যাঙ নামাজ পড়বে।
এই ব্যাপারে ধামরাই থানার আফিসার ইনর্চাজ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, মসজিদ ভাঙ্গার বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি অভিযোগ পেয়েছি উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/এসএফ