ইউপি চেয়ারম্যান হত্যায় আটক ৫, দুই পুলিশ ক্লোজড
উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত সিরাজ সিকদার, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য তাইজুল ইসলাম পান্না, আইয়ুব আলী, হরষিত রায়সহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিভিন্ন তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
সম্পর্কিত খবর
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন বিষয় সামনে বেরিয়ে আসছে। সবগুলো বিষয় আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি। এছাড়া ইউনিয়নের কুড়ুলিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মিজান এবি ইউসুফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে সকালে স্থানীয়রা উজিরপুরের কারফা বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এই সময় কারফা বাজারে স্থানীয়দের সাথে পুলিশের বেশ কয়েকবার বসা হয়। পাশাপাশি কারফা বাজারের কলেজ রোড এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর ও সোহাগ সরদার নাওম একজনের তিনতলা একটি ভবনে ধরিয়ে দেয় স্থানীয়রা। তবে দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও জল্লা ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে।
এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার মো: ইউনুসের পিএস আবু সাইদকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল আবু সাইদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে সরাসরি অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ বলছে বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।
স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল বিশ্বাস জানান, এই খানে আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দেলের পাশাপাশি মাদক ইয়াবার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেকেই অবস্থান নেয়।
অপরদিকে শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে নিহত চেয়ারম্যানের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সহস্রাধিক মানুষ তার মরদেহকে ঘিরে অবস্থান নেয়। এছাড়া চেয়ারম্যানকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে উজিরপুরের ইচলাদীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মরদেহ দেখতে না আসলেও বরিশাল ১ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ মরদেহ দেখতে জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজ মাঠে আসেন এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন। এসময় স্থানীয়রা চেয়ারম্যান হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবী করেন।
স্থানীয়দের দাবী, নিহত চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় থাকায় এবং তার ভালো কাজে ঈর্ষানিত হয়ে কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছে। এদিকে পুরো ইউনিয়ন ঘিরে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
অন্যদিক এই ঘটনায় নিহতের পিতা সুখলাল হালদার বাদী হয়ে ।উজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। তবে আসামীদের বিষয়ে কিছুই জানাননি তিনি। পাশাপাশি পুরো এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রেখেছে।
ওএফ