• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

জামালপুরে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশ:  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:০৯
জামালপুর প্রতিনিধি

যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইসলামপুর উপজেলার ৪ ইউনিয়ন ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেওয়ানপাড়া, ডেবরা পেইচ, পুর্ব বলিয়াদহ, পশ্চিম বলিয়াদহ, শিংভাঙ্গা, ধর্মকুড়া, চিনাডুলি, বমনা, বড়াইলপাড়া, কুলকান্দিসহ এলাকার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষজন খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চলতি আমন আবাদসহ শাক সবজির বিস্তির্ণ ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে।

ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সাখাওয়াত হোসেন জানান, ইসলামপুর উপজেলাতে ৯ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। বন্যায় ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত চিনাডুলি, পার্থশি, নোয়ারপাড়া ও কুলকান্দি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফসলহানির আশংকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। উপজেলার বাকী অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে বন্যা আতংক দেখা দিয়েছে।

ড্যাবরাপেইচ গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম জানান, এক একর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। পুরো ফসল এখন পানির তলে। জমি তৈরী, জালা বুনা, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহারে ইতোমধ্যে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পানি কয়েকদিন থাকলে জালা পচে যাবে। এবার বছরের খাবার কিভাবে জুটবে খুবই দু:শ্চিন্তায় আছি। খোরশেদের মতো যমুনা পাড়ের কৃষক জনু শেখ, বকুল শেখ, ইমান আলী, মিয়ার মোল্লা ও ছাত্তারসহ অনেকেই ধানের আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

পশ্চিম চিনাডুলি গ্রামে যমুনার পানীর তীব্র স্রোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে ঘরবাড়ি গাছাপালা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ৪৫ বছর বয়সী শিক্ষক সামসুদ্দিন ও কৃষক আব্বাস আলী জানান, যমুনার পানির স্রোতে আমাদের এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমাদের ঘরবাড়ী, ১০/১৫টি গাছপালা ভাঙনের মুখে বিলিন হয়েছে। গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে বাঁশ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

যমুনা পাড়ের গ্রামগুলোতে সর্বত্র বন্যা আতংক বিরাজ করছে। পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

/পি.এস

জামালপুর,বন্যা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close