এমপি রানার জামিন নিয়ে উত্তেজনার ঘটনায় পুলিশের দুই মামলা
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে এমপি সমর্থকদের ধাওয়া ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের দুই এসআই বাদি হয়ে মোট ১০৪ জনকে আসামি করে মামলা দুটি দায়ের করেন।
সম্পর্কিত খবর
শুক্রবার এ মামলার তথ্য নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান জানান, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৯৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ওই ঘটনার সময় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন একটি দোকান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় দোকানে থাকা দুজনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ বাদি হয়ে ওই ১১ জনকে আসামি করে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত ১১ জনকে বৃহস্পতিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) এমপি রানার জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। সেদিন তার ‘জামিন হবে’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে তার পক্ষের নেতাকর্মীরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার ও এমপি রানার মুক্তির দাবিতে মিছিল নিয়ে শহরের শামছুল হক তোরণ এলাকা দিয়ে আদালত চত্ত্বরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে।
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছত্রভঙ্গ এমপি রানার সমর্থকদের মধ্য থেকে দুইজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এলাকার একটি দোকান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিনসহ আটক করা হয়। পরবর্তীতে আরো নয়জনকে আটক করা হয়।
/পি.এস