• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বগুড়ার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশ:  ২৫ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৪৫
বগুড়া প্রতিনিধি

ঈদের ছুটিতে বগুড়ার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। গত কয়েকদিনে বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়, বেহুলার বাসর ঘর সহ যমুনা বাঙালীর বাধ সহ চরাঞ্চলে পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

ঈদ উল আযহার ছুটিতে কর্মময় জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে এসেছিল বগুড়ায়। ঈদের দিন থেকেই তারা বেরিয়ে পড়েছিল বিভিন্ন স্থানে একটু বিনোদনের জন্য। শুধু তারাই নয় সাথে স্থানীয়রাও বিভিন্ন স্থানে গিয়েছে পরিবার নিয়ে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যারা দিনরাত পরিশ্রম করে শহরসহ গোটা জেলা নিরাপদ রাখছে, তারাও ছুটে গিয়েছিল সারিয়াকান্দির যমুনার চরে।

সম্পর্কিত খবর

    যমুনা পাড়ে ঈদের ছুটিতে সমুদ্রের আমেজ নিতে শত শত মানুষ ভীড় জমিয়েছে। বগুড়ার ধুনট উপজেলার বানিয়াজান,শহড়াবাড়ী,সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর, কালিতলা, এলাকার যমুনা পাড়ে শত শত মানুষ প্রিয়জনদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে এসেছে। কেউবা কার, কেউবা সিএনজি অটোরিক্সা, কেউবা মোটর সাইকেল নিয়ে ঈদের ছুটির অবসর বিনোদনে ছুটে এসেছে যমুনা পাড়ের এসব জায়গায়। প্রতি বছরই এসব জায়গায় ভীড় জমায় লোকজন। যমুনা পাড়ের এসব জায়গায় নদী সংরক্ষনে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে সুন্দর করে বেধে দেয়ায় পরিবার-পরিজনদের নিয়ে নদীপাড়ে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করে সময় পাড় করে দেয়।

    লোকজনের ভীড় প্রতিবছর হওয়ায় যমুনা পাড়ের ওই সব জায়গায় কেউবা,বাদাম, কেউবা, আইসক্রিম, মুড়িমাখা, শরবতের দোকান সহ অন্যান্য দোকানের পসরা বসিয়েছে। নদী পাড়ে নৌকা ভ্রমনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি ঘন্টা জন প্রতি ৩০ থেকে ১০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। মেঘাই গিয়ে দেখা গেল সেখানে সমুদ্র সৈকতের মত বসার জায়গাসহ ছাতা দেয়া হয়েছে।

    কথা হলো রায়গঞ্জ উপজেলার এক দম্পতির সাথে। আতিক নামের যুবক বললেন, দুমাস আগে বিয়ে করেছেন। চাকুরী করে দিনাজপুরে। ঈদের ছুটিতে বাড়ী এসে বিনোদনের জন্য মেঘাই যমুনা পাড়ে এসেছি। অনেকটা সুমদ্রের স্বাদ পাওয়া যায় এখানে।

    বানিয়াজানে কথা হলো, কাহালু উপজেলার আব্দুল হাদীর সাথে। তিনি বললেন, প্রতি ঈদেই তিনি স্ত্রী,ছেলে বউ, নাতী- নাতনীদের নিয়ে বেড়াতে আসে। নদীর তীরে বসে শীতল হাওয়া খেতে ভালোলাগে বলে জানালেন। কালিতলায় কথা হলো সুফল নামের এক যুবকের সাথে। বগুড়া শহরে চাকুরী করেন। তিনি জানান, যমুনার পাড়ে বিকেলটা যেন অন্যরকম লাগে। তাই, একটু বিনোদনের জন্য ছুটে এসেছি এখানে।

    বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বিপিএম সহ পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারবর্গ গিয়েছিল বগুড়ার সারিয়াকান্দির কালিতলা ঘাট, চর ও প্রেম যমুনার ঘাট। নদীতে তারা নৌকা করে ঘুরছে। চরের কিশোরদের সাথে ফুটবল খেলেছে, তাদের সারল্যে ও ভালোবাসায় মুগ্ধ পুলিশ সুপার সহ কর্মকর্তারা।

    বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান গড়ে এসেছিল হাজারো মানুষ। তবে সেখানে জাহাজঘাটাতে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা দেখে অনেকে বলেছে মূল্য ১০ টাকা হলে ভালো হত। বেহুলার বাসর ঘরেও ছিল মানুষের ঢল। শহরের পৌর পার্ক, প্যালেস মিউজিয়াম, ওয়ান্ডারল্যান্ড, শেরপুরের সাউদিয়া পার্কেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

    -একে

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close