• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি, ৫ পুলিশ প্রত্যাহার

প্রকাশ:  ১৭ আগস্ট ২০১৮, ২১:২৩
যশোর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা দাবি করায় পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) রাতে তাদেরকে যশোর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।

প্রত্যাহারকৃত কর্মকর্তারা হলো- এসআই গিয়াস উদ্দিন, এএসআই আয়নাল, এএসআই মো. শামছুজ্জামান রহমান, এএসআই তবিবুর রহমান ও এএসআই কাজী শাহ আলম।

অভয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে অভয়নগর থানার এসআই মো. গিয়াস উদ্দিন এবং এএসআই মো. শামছুজ্জামান উপজেলার বুইকরা গ্রামের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মোহাম্মদ আলীকে (৩০) গ্রেফতার করেন। এরপর তাকে থানায় রেখে বেদম প্রহার করা হয়। পরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার পরিবারের কাছে ১২ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

মোহাম্মাদ আলীর বোন জোহরা খাতুন বলেন, মোহাম্মাদ আলী চট্টগ্রামে ট্রাকে হেলপারি করেন। তার নামে তিনটি ওয়ারেন্ট রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে এসে ছয়জন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

ওই রাতে থানায় গিয়ে আমরা তাকে দেখতে পাইনি। রাত ১১টায় তাকে থানায় আনা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার আমরা ওসি এবং এসআই গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করি। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আদালতে নেয়ার উদ্দেশ্যে থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তার সঙ্গে আরও একজন আসামি ছিল। পুলিশ ওই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে। কিন্তু মোহাম্মাদ আলীকে আদালতে সোপর্দ করেনি। বৃহস্পতিবার রাতে আবার থানায় ফিরিয়ে আনে তাকে। এরপর থানা ভবনের দোতলায় একটি ঘরে আটকে রেখে বেদম মারপিট করা হয়।

জোহরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, মোহাম্মদ আলীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। তাকে ক্রসফায়ার থেকে বাঁচাতে পুলিশ আমাদের কাছে ১২ লাখ টাকা দাবি করে। আমরা গরিব মানুষ। এতো টাকা কোথায় পাবো। আজ সকালে থানায় গিয়ে আহত অবস্থায় আমার ভাই মোহাম্মাদ আলীকে দেখেছি।

অভয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, উপজেলার বুইকরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীকে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে একটি সুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও ৫০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার নামে ৩টি মামলার ওয়ারেন্ট ছাড়াও ৩টি মাদক আইনে মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের মামলাও হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে ৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে কেন প্রত্যাহার করা হয়েছে তা তিনি বলতে চাননি। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

/পি.এস

যশোর,ক্রসফায়ার,প্রত্যাহার

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close