ফরিদপুরে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার সব আসামী খালাস
ফরিদপুরের সালথায় চাঞ্চল্যকর ভাওয়াল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন আলম (৩২) হত্যা মামলায় সকল আসামী বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
সোমবার (১৬ জুলাই) ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলাল রউদ্দিন এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামীগণ আদালতে হাজির ছিলেন।
সম্পর্কিত খবর
সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানসহ এই মামলায় ৩৩ জন আসামী ছিলেন। এদের মধ্যে তিনজন আসামী মামলা চলাকালে মারা গেছে। গত বুধবার মামলার ধার্য্যকৃত তারিখে আসামীগণ আদালতে হাজির হলে তাদের সকলকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, এ হত্যা মামলার এজাহারে ঘটনাস্থল যেখানে দেখানো হয়েছে এবং যেভাবে হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তা প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে মামলার সকল আসামী খালাস পেয়েছেন।
উল্লেখ্য ২০০৮ সালের ২১ মার্চ সকাল ৯টার দিকে খুন হন সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলি মাতুব্বর ছেলে ও ভাওয়াল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন আলম। তিনি একজন পল্লি চিকিৎসক ছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ওষুধ আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে ইউসুফদিয়া গ্রামের হাই মাতুব্বরের বাড়ির সামনে লিটনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন লিটনের ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ২০০৮ সালের ২৮ সেপ্টম্বর এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার সাহা ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩৩জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ওএফ