• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

চাল আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খোলাবাজারে

প্রকাশ:  ২২ জুন ২০১৮, ১৭:০১
দিনাজপুর প্রতিনিধি

চাল আমদানিতে শুল্ককর বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে। প্রকারভেদে তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে প্রতিকেজি চালের দাম।

শুল্ক বৃদ্ধির আগে ভারত থেকে আমদানি করা ২৮ জাতের চাল প্রতিকেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা বিক্রি হয়েছে। সেই চাল বর্তমানে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা কেজি দরে। তবে দেশি চালে বাজার আমদানি করা চালের বাজারের চেয়ে তুলনামূলক কম। দেশি চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে।

খুচরা চাল ক্রেতা জামিল হোসেন, সেলিম মিয়া, রোকেয়া বেগম জানান, পনেরদিন আগে যে চাল কিনেছেন ৩৫ টাকা কেজিতে। সেই চাল এখন কিনতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। চালের ওপর সরকার শুল্ককর বৃদ্ধি করেছেন বলেই আমদানি করা চালের দাম বেড়েছে বলে বিক্রেতারা তাদের জানিয়েছেন।

হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল জলিল, মাসুম মিয়া, চঞ্চল বসাক জানান, মোকমে কিনতেই চালের দাম বেশি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ৩৫ শ টাকা কুইন্টালের চাল এখন কিনতে হচ্ছে ৩৮শ টাকা কুইন্টাল দরে। তারপর রয়েছে ভ্যান ভাড়া, লেবার খরচ।

এদিকে শুল্ককর বৃদ্ধির আগে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা নয় হাজার মেট্রিকটন আমদানি করা চাল এখনো খালাস করা হয়নি। চাল আমদানিতে সরকারের শুল্ককর বাড়ানোর পর থেকেই খালাস কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন এ বন্দরের আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ জানান, চাল আমদানিতে শুল্ককর বৃদ্ধির পর থেকে এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি কমে গেছে। আমদানিকারকরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে চাল আমদানিতে। আগে যেখানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক চাল প্রবেশ করত। সেখানে বর্তমানে দু’চার টি ট্রাক প্রবেশ করছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন থেকে চাল আমদানিতে থাকা শুল্ককর ২ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশ করে সরকার ।

চাল,আমদানি,শুল্ককর

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close