জমি নিয়ে বিরোধ, ব্যাংক কর্মচারীর ঘরে আগুন
ঝালকাঠিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সোনালী ব্যাংকের এক কর্মচারীর বসতঘরে প্রতিপক্ষরা অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বসতঘরটি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এতে বাধা দিলে পিটিয়ে আহত করা হয় মা ও ছেলেকে।
বুধবার (২০ জুন) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার শতদশকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মৃনাল কান্তি মিস্ত্রি।
সম্পর্কিত খবর
অভিযোগে জানা যায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শতদশকাঠি গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে ৩০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন সোনালী ব্যাংক কর্মচারী মৃনাল কান্তি মিস্ত্রি। জমির কিছু অংশ নিয়ে প্রতিবেশী পলাশ হালদার ও তাঁর চাচা সুনিল হালদারদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ আদালতে মামলা করে। মামলায় মৃনাল কান্তি মিস্ত্রির পক্ষে আদালত রায় দিলে প্রতিপক্ষরা উচ্চ আদালতে আপিল করে। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে।
এ অবস্থায় বিভিন্ন সময় বিরোধীয় ওই জমি দখলের চেষ্টা করে পলাশ ও সুনিল। জমি দখল নিতে না পেরে বুধবার সকালে পলাশ হালদার ও সুনিল হালদারের নেতৃত্বে সাত-আট জন লোক মৃনাল কান্তি মিস্ত্রির বাড়িতে হামলা করে। তারা বসতঘর, গোয়ালঘর ও রান্নঘর ভাংচুর চালায়। ঘরের ভেতর থেকে মালামাল লুটপাট করে কেরোসিন ও পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গোয়ালঘর ও রান্নাঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুনে বসতঘরটি আংশিক পুড়ে যায়। পুকুর থেকে পানি ঢেলে বসতঘরটি রক্ষা করা হয়। এতে বাধা দিলে হামলাকারীরা মৃনাল কান্তি মিস্ত্রির স্ত্রী কনিকা হাওলাদার ও তাঁর ছেলে রাবন মিস্ত্রিকে পিটিয়ে আহত করে। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মৃনাল কান্তি মিস্ত্রি অভিযোগ করেন, আমি সকালে ব্যাংকে চলে গেলে প্রতিপক্ষরা এসে হামলা করে। পরে আমি খবর পেয়ে বাড়িতে ছুঁটে আসি। আমাদের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও রান্নাঘর ও গোয়ালঘরটি সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দিয়েছে পলাশ ও সুনিল। তারা ভাড়া করে লোকজন নিয়ে আমার স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করেছে।
ঝালকাঠি থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওএফ