প্রথম স্বামীর হাতে দ্বিতীয় স্বামী খুন

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ঈদের দিন আত্বীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে প্রথম স্বামীর ছুরির আঘাতে দ্বিতীয় স্বামী খুন হয়েছে।

শনিবার (১৬ জুন) ঈদের দিন দিনাজপুরের পার্ববতীপুর উপজেলার ভবানীপুরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী হোসনে আরা সহ আত্বীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে গেলে বাড়ী ফেরার পথে হোসনে আরা’র পুর্বের স্বামী সাদেকুল ইসলাম, বর্তমান স্বামী নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত নজরুল ইসলাম পার্বতীপুর উপজেলার ভবানীপুর বাজার এলাকার অমর আলীর ছেলে।

নিহতের খালাতো বোন হাফিজা বেগম ও দুলাভাই সেরাজুল ইসলাম জানান, দেড় বছর আগে নবাবগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে মোছা. হোসনে আরার সঙ্গে তার খালাতো ভাই নজরুল ইসলামের বিয়ে হয়। এর আগে নবাবগঞ্জ উপজেলার ঠসারমোড় গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন এর ছেলে সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। পরে সাদেকুল তাকে তালাক দেন।

নজরুলের সঙ্গে বিয়ের পর হোসনে আরা ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতো এবং নজরুল রিকশা চালাতেন । নজরুল ও তার স্ত্রী ঈদ করতে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে, খালা শাশুরীর বাড়ী নবাবঞ্জের ঠসারমোড় নামকস্থানে বেড়াতে আসেন। ঈদের নামাজ শেষ করে নজরুল ইসলাম ঐ এলাকার স্থানীয় হক সাহেবের বাজরে বেড়াতে গেলে। এ সময় নজরুলকে দেখতে পেয়ে হোসনে আরার সাবেক স্বামী সাদেকুল প্রকাশ্যে তার বুকে ছুরি চালান।

স্থানীয়রা সাদেকুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় এবং নজরুলকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে এলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় ঐ দিন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ হত্যাকারী সাদেকুল ইসলামকে আটক করে।

নিহত নজরুর ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা জানান, দীর্ঘ দেড় বছর পুর্বে সাদেকুলের সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর তিনি নজরুলকে বিবাহ করেন, এরই আক্রোশে নজরুলকে তার পুর্বের স্বামী সাদেকুল তার সামনেই ছুরি চালিয়ে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার এর সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় হত্যাকারী সাদেকুলকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে দিনাজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং নিহত নজরুলের ভাই বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।