পুতুল নাচের নামে নারীদের নগ্ন নৃত্য
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঐতিহাসিক ঈদ মেলায় পুতুল নাচের নামে নারীদের নগ্ন নৃত্য পরিবেশনের অভিযোগে প্যান্ডেল ভাংচুরসহ ৬ নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ঈদের পরদিন রোববার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় ও গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হাসান।
সম্পর্কিত খবর
রোববার রাত সাড়ে ৯টার সময় বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসানো পুতুল নাচের প্যান্ডেলে জাদু খেলা পরিবেশন এবং প্রকৃত পুতুলের পরিবর্তে জ্যান্ত পুতুল ষোড়সী নারীদের দিয়ে নগ্ন নৃত্য পরিবেশন করছিল আয়োজক কমিটি। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানা পুলিশের একদল সঙ্গীয় ফোর্স সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশ সেখান থেকে-জলি, লিমা, পারুল, নদী, বিধী ও সাথী-সহ ৬ নারীকে আটক করে।
প্রসঙ্গত ঈদের তিনদিন পুর্বে বাঘার ঐতিহাসিক ধর্মীয় ঈদ মেলায় বিগত বছরের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ফিরিস্থি তুলে ধরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ প্রেরণ করেন পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল কৃদ্দুস সরকার ও বাঘা ফাজিল মাদ্রসার অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর মিঞা-সহ প্রায় শতাধিক মানুষ। ওই আবেদনে বলা হয়, প্রতিবছরই বাঘার ঐতিহাসিক ধর্মীয় ঈদ মেলা ইজারা নিয়ে পুতুল নাচের নামে নগ্ন নৃত্য, র্যাফেল ড্র’ (লটারি’র) নামে জুয়ার আসর এবং সার্কাস প্যান্ডেলে নাটক এর পরিবর্তে যাত্রার নামে অশ্লীলতা চালিয়ে আসছে পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন।
তবে মামুন হোসেন প্রতি বছর তার নামে মেলা ইজারা নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এবার মেলায় র্যাফেল ড্র’ (লটারি’র) নামে জুয়ার আসর বসেনি। পুলিশ যে প্যান্ডেল থেকে নগ্ন নৃত্যের দায়ে নারীদের আটক করেছে সেখানে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হাসান বলেন, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে আমার কোন আপোষ নাই। পুর্বে কি ঘটেছে তা আমি জানিনা। ধর্মীয় মেলায় অশ্লীলতা বন্ধের দাবি জনগণের।