ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২
ময়মনসিংহ নগরীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মোঃ রনি (৩০) ও আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার (৩৮) নামে আরো দুইজন নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে নিহত ওই ২ ব্যক্তি নগরীর কৃষ্টপুর এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামী ছিলেন। দুজনই নগরীর কৃষ্টপুর এলাকার মামুন মিয়া ওরফে ঢাকাইয়া মামুন এবং বাশবাড়ি কলোনির সিরাজ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস পিপিএম এবং কনেস্টেবল শামিম গুরুতর আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর
মঙ্গলবার (১২ জুন) মধ্যরাতে নগরীর কালিবাড়ী লেন এলাকায় পরিত্যাক্ত একটি বাড়ীর সামনে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আশিকুর রহমান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি মোঃ আশিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে নগরীর কালিবাড়ী লেন এলাকায় পরিত্যাক্ত একটি বাড়ীর সামনে কতিপয় মাদক ব্যাবসায়ীরা মাদক ভাগাভাগি করছিল ।
পরে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করতে ওই এলাকায় রাত পৌনে ২টার দিকে পৌছে। তখন অভিযান চলাকালে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ শুরু করে। তিনি আরও জানান, পরে ওই সময় ডিবি ওসির নির্দেশে ডিবি পুলিশের টিম আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে।
তখন উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পলিয়ে যায়। এসময় এলাকা তল্লাশী করে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী মোঃ রনি (৩০) ও আনোয়ার হোসেন ওরপে আনার (৩৮) নামে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। পরে দ্রুত তাদেরকে গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আনা হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আশিক আরও জানান, এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস পিপিএম এবং কনেস্টেবল শামিম গুরুতর আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, তিনটি গুলির খোসা, ১টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা দুজনই নগরীর কৃষ্টপুর এলাকার মামুন মিয়া ওরফে ঢাকাইয়া মামুন ও বাশবাড়ি কলোনির সিরাজ আলী ছেলে।
এবিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।