আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগল, অতঃপর
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগলকে আটক করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা ওই যুগলকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। তবে বিয়েতে দু’জনের সম্মতি না থাকায় মঙ্গলবার রাতে মুচলেকা নিয়ে নিজ নিজ অভিভাবকদের জিম্মায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ৭ম সেমিস্টারের ছাত্র ও সনাতন সংঘের সভাপতি ব্রোজেন মন্ডল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান অনুষের এক ছাত্রীকে নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ভবনের একটি কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়।
সম্পর্কিত খবর
দীর্ঘক্ষণ ধরে বের না হওয়ায় দুপুর ২টার দিকে জানালা দিয়ে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী দরজাটি ধাক্কা দিয়ে খোলার চেষ্টা করে। হৈচৈ শুনে দরজা খুলে ব্রোজেন মন্ডল কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন এবং মেয়েটি একটি আলমারির পেছনে লুকিযে থাকে। এসময় ওই শিক্ষার্থীরা কক্ষে ঢুকে মেয়েটিকে নগ্ন অবস্থায় দেখতে পেয়ে শিক্ষকদের জানায়। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিম ও আবাসিক হলের প্রভোস্টরা এসে ওই প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিয়ের ব্যাপারে তাদের সম্মতি চাইলে ওই প্রেমিক যুগল তাতে অস্বীকৃতি জনায়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো হয়। রাতে অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে এলে ওই দু’জনকে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
টিএসসি ভবনের কর্মচারী ও একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, আটক দু’জনের বাড়ি খুলনাতে। মাঝে মাঝেই এই প্রেমিক যুগল ওই কক্ষে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো। এটা অনেকের দৃষ্টিগোচর হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট মো. শাহীন হোসেন জানান, ঘটনার পর উভয়পক্ষের অভিভাবককে ডাকা হয়। পরে তাদের অভিভাবকরা এলে মুচলেকা নিয়ে ওই প্রেমিক যুগলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
পবিপ্রবির সরকারী প্রক্টর মো. মেহেদী হাসান বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ায় উভয়ের অভিভাবক ডেকে সমাধান করা হয়েছে।
পি.এস