• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

হত্যার আড়াইমাস পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ:  ২৪ মে ২০১৮, ১১:৫৭
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় অপহরণ করে হত্যার আড়াইমাস পর মাটিখুঁড়ে মেহেদী হাসান বাবু (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের পলাশিহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। মেহেদী নাওগাঁও ইউনিয়নের শিবগঞ্জ গ্রামের প্রবাসী শাহজাহানের ছেলে ।

বৃহস্পতিবার (২৪ মে ) মধ্যরাত ১টার দিকে উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজারের একটি পরিত্যাক্ত গোডাউনের ভিতর মাটি খুড়ে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় হত্যার মূলহোতা তুষার, তার বড় ভাই উজ্জল ও তুষারের সহযোগী আল আমিনসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সম্পর্কিত খবর

    তিনি জানান, ৬ মার্চ মেহেদীকে তার নিজ বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায় তুষার।এরপর তাকে অপহরণের কথা বলে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এঘটনায় ফুলবাড়ীয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন মেহেদীর পরিবার। পরে ডিবি পুলিশের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও জানান, ডিবিতে মামলা আসার পর এসআই পরিমল চন্দ্র দাস তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তুষার ও আল আমিনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অপহরণের আসল রহস্য উদঘাটন করা হয়। তার দুইবন্ধু মেহেদীকে নৃশংস ভাবে হত্যার পর লাশ মাটি চাপা দেয়ার কথা স্বীকার করেন দুজন। পরে বুধবার (২৩ মে) রাত ১১টার দিকে তুষারের তথ্যমতে মেহেদী লাশ উত্তোলন করতে প্রস্তুতি নেয় ফুলবাড়ীয়ার কেশরগঞ্জ বাজার এলাকায়।

    ওসি আশিক আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ মে) মধ্যরাত ১টার দিকে সেখানে পৌছে তুষারের বড় ভাইয়ের হাফ বিল্ডিং পরিত্যাক্ত একটি গোডাউনের ভিতর থেকে মাটি খুঁড়ে মেহেদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় তুষার, তার বড় ভাই উজ্জল ও সহযোগী বন্ধু আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

    এদিকে লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম ) এসএ নেওজী, কোতোয়ালী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন, ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি শেখ কবিরুল ইসলাম ও নিহত মেহেদীর বাবা শাহজাহানসহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা, ইলেক্টনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার গনমাধ্যমকর্মীরা।

    অন্যদিকে উপজেলা কেশরগঞ্জ বাজার এলাকায় পুলিশের গাড়ীর বহরটি প্রবেশের সাথে সাথে এলাকার সাধারণ মানুষ ভিড় জমায় ঘটনাস্থলে। পরে লাশ উত্তোলন করা শেষ হলে, হত্যাকারিদের কঠিন বিচারের দাবি করেন এলাকাবাসী।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close