রোহিঙ্গাদের দুর্দশায় কাঁদলেন প্রিয়াঙ্কা
বলিউড ও হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বুধবারও কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। সোমবার(২১ মে) সকালে ফ্রান্স থেকে ঢাকায় আসেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এবং একই দিনে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজারের উখিয়ায় যান।
বুধবার সকালে উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে যান প্রিয়াঙ্কা। এসময় ইউনিসেফ পরিচালিত নারী ও শিশু কেন্দ্রে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। শোনেন নির্মম নির্যাতন ও গণহত্যার বর্ণনা। তিনি তখন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় রোদ চশমা খুলে তার চোখের জল মুছতে দেখা গেছে। পরে অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত নারী ও শিশুদের সেবা কার্যক্রম ঘুরে দেখেন ইউনিসেফের এই বিশেষ দূত।
সম্পর্কিত খবর
সেখান থেকে কুতুপালংয়ের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন প্রিয়াঙ্কা। মঙ্গলবার (২২ মে) প্রিয়াঙ্কা চোপড়া টেকনাফের সাবরাং ও বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তার চোখের জল মুছতে দেখা গেছে। সোমবার (২১ মে) চারদিনের সফরে কক্সবাজার আসেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
এই যাত্রাপথে প্রিয়াঙ্কা বলেন, প্লিজ, আমার জন্য এত নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। সামনে-পেছনে এত গাড়ি থাকতে হবে না। একটা গাড়ি থাকলেই চলবে।
টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়ক থেকে প্রিয়াঙ্কা টেকনাফের নেটং (উঠনি) পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে গেলে তাকে জানানো হয়, নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে কীভাবে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছে।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশ যাত্রা প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, তাদের সেই যাত্রা অনেক প্রতিকূলতা আর চরম বিপজ্জনক। অনেকে কয়েক দিন হেঁটে পাহাড় পেরিয়েছে। এরপর নাফ নদী কিংবা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়েছে ভেলায় চড়ে। তাদের অনেকেই আহত, অন্তঃসত্ত্বা আর বয়োজ্যেষ্ঠও ছিল। এখানেই তাদের যন্ত্রণার শেষ নয়।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে ফ্রান্স থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ৩৫ বছর বয়সী এ অভিনেত্রী। সেখান থেকে ইউএস বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটে করে তিনি বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এখানে চার দিন অবস্থান শেষে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার ত্যাগ করবেন বলে জানা যায়।
এসএম