বিরোধের জেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ইউনিয়নের বামনী পূর্ব বাজারে জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে বড় ভাই কর্তৃক ছোট ভাইয়ের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরণে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী পূর্ব বাজারে অবস্থিত ফকির মিকার ও জজা মিকারের বাড়ীর জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বড় ভাই ফকির আহম্মদ বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে ছোট ভাই কবির আহম্মদ জজার বসত ঘর লগোয়া দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। ভাংচুর ও লুটপাট শেষে দখলকৃত জায়গায় টিন দিয়ে সীমানা প্রাচীর দিলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে সীমানা প্রাচীর উচ্চেদ করে। এ ঘটনায় মহিলা সহ ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সম্পর্কিত খবর
রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা থাকতেই পারে তাই বলে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে এভাবে একজনের দোকানপাট ভাংচুর করে লুটপাট করা একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কবির আহম্মদ জজাকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় প্রেরণ করেছি মামলা করার জন্য।
ঘটনা সম্পর্কে অভিযুক্ত ফকির আহম্মদ বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না, আজ সকালে দলিল লেখক সহ আমার বেয়াই ও মেয়ের জামাইয়ের উপস্থিতিতে জায়গাটি বুঝিয়ে দিলে আমি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করি। কিন্তু ছোটভাই কবিরের লোকজন তা ভেঙ্গে ফেলে। কে বা কারা তার দোকান ভাংচুর করেছে আমি জানিনা। আমার ছোটভাই নিজের দোকান নিজে ভাংচুর করে আমার উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
কবির আহম্মদ বলেন, জায়গাটি আমার মায়ের। মা মারা যাওয়ার সময় আমাদের তিন ভাই-বোন কে রেজিষ্টি করে দিয়ে যায়। কিন্তু আমার বড় ভাই আমার দখলীয় যায়গা জোরপূর্বক দখল করে আমাকে বাড়ী থেকে উচ্চেদের চেষ্টা করলে বিষটি নিয়ে আমি জজকোর্টে মামলা করি বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।
এর পরেও আজ সকালে আমার বড়ভাই উনার বেয়াই ও মেয়ের জামাইসহ বহিরাগত ১৫/১৬জন সন্ত্রাসী এনে আমার স্ত্রী-পুত্রকে পিটিয়ে আহত করে এবং দোকান ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় আমি এলাকার বাহিরে ছিলাম।