কুষ্টিয়ায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশের সঙ্গে "‘বন্দুকযুদ্ধে" মাদক ব্যবসায়ী ফটিক ওরফে গাফফার (৩৭) ও ভেড়ামারায় লিটন শেখ (৪৫) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।
পুলিশের দাবি পৃথক এ ঘটনায় তাদের ৮ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অস্ত্র, গুলি ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার লাহিনী পাড়ার গড়াই নদীর পাড় সংলগ্ন ব্রীজের নিচে ও ভেড়ামারা হাওয়াখালী ইটভাটার কাছে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
সম্পর্কিত খবর
কুমারখালী থানার ওসি আব্দুল খালেক জানান, মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে একদল মাদক ব্যবসায়ী লাহিনী পাড়ার গড়াই নদীর পাড় সংলগ্ন ব্রীজের নিচে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় অন্য সব মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানতে পারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যাক্তি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ফটিক ওরফে গাফফার। তিনি পুলিশের তালিকাভূক্ত একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হলে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ও ৭'শ পিস ইয়াবা ও ৫০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ফটিক ওরফে গাফফার কুমারখালী উপজলার এলেঙ্গীপাড়া গ্রামের মৃত ওসমান গনীর ছেলে।
অপরদিকে ভেড়ামারা মডেল থানার ওসি আমিুনুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ভেড়ামারা হাওয়াখালী ইট ভাটার কাছে একদল মাদক ব্যবসায়ী মাদক বেচাকেনা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের টহল দল সেখানে অভিযান চালালে পুলিশকে লক্ষ্য করে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় সবাই পালিয়ে গেলেও মাদক ব্যবসায়ী লিটন শেখ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি এলজি, ৩ রাউন্ড গুলি, ৫০০ পিস ইয়াবা ও ২শ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে। নিহত লিটন শেখ উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার মৃত গোলবার শেখের ছেলে। এ সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়। সে ভেড়ামারার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও চোরাকারবারির মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশ দুই মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।