• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ৬ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ:  ২২ মে ২০১৮, ১৮:৩০
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত একাদশ শ্রেণির বর্ষ সমাপনী পরীক্ষায় নকলের সুযোগ না দেওয়া ও কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল কাদের নয়নকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ এনে একই কলেজের ৬ ছাত্রের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন অধ্যক্ষ উত্তম কুমার কর।

মামলার আসামীরা হলেন, ডিগ্রি পরীক্ষার্থী আপেল মাহমুদ, মোহন, রনি, জানু ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোবারক এবং আজহারুল। এদিকে মামলার এজাহারে বর্ণিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা আখ্যা দিয়ে অধ্যক্ষ ও শিক্ষক আব্দুল কাদের নয়নের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ন-দুর্নীতির পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন অভিযুক্ত ছাত্ররা।

তারা এক লিখিত বক্তব্যে জানান, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক নয়নের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় উল্টো অধ্যক্ষ আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার সকালে একাদশ শ্রেণির বর্ষ সমাপনী পরীক্ষার ফি ও বকেয়া বেতন কমানোর দাবিতে ছাত্ররা অধ্যক্ষ উত্তম কুমার করের কক্ষে ভিড় করে। এ সময় স্থানীয় বাদে আঠারবাড়ি গ্রামের একাদশ শ্রেণির বর্ষ সমাপনী পরীক্ষার্থী মোবারকসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে বাংলার প্রভাষক আব্দুল কাদের নয়নের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক নয়ন ছাত্র মোবারকের গালে থাপ্পর মারে। থাপ্পর মারার কারণ জানতে চাইলে মোবারককে আবারো কয়েকবার থাপ্পর মারে শিক্ষক নয়ন। মোবারককে একের পর এক থাপ্পর মারতে দেখে সহপাঠী ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে এ সময় শিক্ষক আব্দুল কাদের নয়নকেও লাঞ্ছিত করে। পরে এ ঘটনায় শিক্ষকরা তাৎক্ষণিক এক বৈঠক করে কলেজের ৬ ছাত্রের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ বাদি হয়ে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত সোমবার সকাল ১১টার দিকে একাদশ শ্রেণির বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে নকলের সুযোগ না দেওয়ায় আপেল মাহমুদ, মোহন, রনি, মোবারক, আজহারুল, জানুসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জন কলেজের পরীক্ষা কক্ষে হামলা করে এবং শিক্ষক আব্দুল কাদের নয়নকে মারধর করে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আপেল মাহমুদ জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে কলেজের পাওয়াদি বেশি হওয়ায় আমরা তা কমানোসহ কলেজের পরিত্যক্ত শহীদ মিনার সংস্কার করার দাবি করে আসছিলাম।

অধ্যক্ষ ও শিক্ষক নয়নের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় উল্টো অধ্যক্ষ আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও মামলার বাদী উত্তম কুমার করের সঙ্গে তার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে চলতি বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা ও সকল পাঠদান কার্যক্রম বর্জন করা হয়েছে। কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অধ্যক্ষের এজাহারের প্রেক্ষিতে ৬ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতেই দ্রুতবিচার আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

ওএফ

শিক্ষক,লাঞ্ছিত,অভিযোগ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close