অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না একই পরিবারের তিন সদস্যের
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় এক অসহায় পরিবারের তিন সদস্য কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থের অভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।চিকিৎসা করা তো দুরের কথা,অর্থাভাবে ওই তিনজনের প্রাথমিক ভাবে ডাক্তার পর্যন্ত দেখানো সম্ভব হয়নি।
উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব-সারডুবি এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডে ৩ শতক জমির উপর জীর্ণশীর্ণ ভাঙ্গা চালায় পরিবারের ৮ সদস্য নিয়ে তাদের বসবাস।এ পর্যন্ত পায়নি কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা।ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যানও রাখেনা তাদের কোন খোঁজ খবর।এই পরিবারটির খোঁজ খবর নেয়ার যেন কেউ নেই।
সম্পর্কিত খবর
সেখানে গিয়ে কথা বলে জানা যায়,মৃত আমানুতুল্লাহর বড় ছেলে আজিমউদ্দিন(৭৫) আগে অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে কোন রকম সংসার চালিয়েছেন।কিন্তু বয়স বেশী হওয়ায় এখন আর কেউ তাকে কাজে নেন না।এখন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তারই বড় ছেলে আবদুর রাজ্জাক মিন্টু (৪০)।সে ঢাকায় রিক্সা চালিয়ে সংসার চালায়।এদিকে ছোট ছেলে আশরাফুল আলম (৩৩) দীর্ঘদিন যাবত মাথার সমস্যায় ভুগছে।
রিক্সাচালক আবদুর রাজ্জাক মিন্টুর ২ টি ছেলে।তার বড় ছেলে সাইফুর রহমান (১৩)।সে জন্ম থেকে সব সময় চিৎকার করে, ঘাড় নারে,মাটিতে গড়াগড়ি করে,কিছুই খেতে চায়না।আর ছোট ছেলে রহমত (৫) চোখের সমস্যায় এক দিকে তাকিয়ে থাকে। অসুস্থ ঐ ৩ জনের রোগ ও চিকিৎসার বিষয় জানতে চাইলে বৃদ্ধ আজিমউদ্দিন কাঁদতে কাঁদতে বলেন,বাবারে আমাদের বেঁচে থেকে কোন লাভ নেই,এতো কষ্টের চাইতে মরে যাওয়াই অনেক ভালো।অসুস্থ এই ৩ জনের চিকিৎসা করা তো দুরের কথা,ডাক্তারকে ভিজিট দিব যে,সে টাকাই তো আমার নেই।বড় ছেলে মিন্টু অন্যের রিক্সা ভাড়ায় চালিয়ে সামান্য যে টাকা আয় করে তা দিয়ে সংসারই চলেনা।তাদের চিকিৎসা করাবো কিভাবে?
তাই তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আকুল আবেদন করে বলেন, ওই ৩ জনের চিকিৎসায় কেউ এগিয়ে আসলে তার পরিবার হয়ত একটু আশার আলো দেখতে পেত।বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মাসুম আলী জানান,ওই পরিবারটিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কিন্তু পরিবারের ৩ জন সদস্য অসুস্থ ফলে তাদের চিকৎসার জন্য সরকার বা বিত্তবানদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।