• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বোমা ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি: আটক ৩

প্রকাশ:  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১০:৩২
বরিশাল প্রতিনিধি

পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলায় বোমা বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার লুটে নেয়ার প্রাক্কালে ৩ ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে কিবরিয়া নামক এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার স্বর্ণকারপট্টির মা স্বর্ণ শিল্পালয় এন্ড জুয়েলার্স নামক একটি দোকানে। ভীতিকর এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান মালিক নির্মল কর্মকার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

সম্পর্কিত খবর

    খবর পেয়ে গলাচিপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে আটক ৩ জনকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়েছেন। সেই সাথে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত বেশ কয়েকটি বোমা ও একটি রিভলবার উদ্ধার করেছে। এই ঘানায় আটকরা হলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে কিবরিয়া, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুইশাখালী গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে আমীর হামজা ও বাকেরগঞ্জের জাহাঙ্গীর হোসেন।

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছে, সন্ধ্যার পরপর ৩টি মোটরসাইকেলযোগে ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল স্বর্ণকারপট্টি বাজারে প্রবেশ করে পরপর ৪টি বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায়। এতে বাজারের ব্যবসায়ি ও ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তারা জীবন রক্ষার্থে দোকানপাট বন্ধ করে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে। এই সুযোগে ডাকাতদল নির্মল কর্মকারের মা স্বর্ণ শিল্পালয় এন্ড জুয়েলার্সে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার লুটপাট করে।

    পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী আরেকটি প্রতিষ্ঠানে হানা দেয়ার প্রাক্কালে ব্যবসায়িরা একত্রিত হয়ে ৩ জনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠান মালিক নির্মল কর্মকার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কি পরিমাণ স্বর্ণালংকার লুটপাট হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

    গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন জানান, এই ঘটনায় ৩ জনকে প্রাথমিকভাকে আটক করা হয়েছে। আটকদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, ডাকাতিতে আটক ৩ জন ছাড়াও কামাল ও নাননু নামে আরও দুই জন অংশ নিয়েছিল। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে। সেই সাথে এই ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার ব্যবসায়িরা চরম আতঙ্কে ভুগছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে কিভাবে ডাকাতদল বাজারে হানা দিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

    বিশেষ করে থানা লাগোয়া বাজারে সন্ধ্যা রাতে ডাকাতির বিষয়টি ব্যবসায়িদের বেশি মাত্রায় আতঙ্কিত করে তুলেছে। এমতাবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের ভাষ্য হচ্ছে- আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। এটি একটি বিছিন্ন ঘটনা মাত্র।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close