দেশের নতুন শিল্পজোন ওলিপুর
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাধীন একসময়ের অজোপাড়া এক গায়ের নাম ওলিপুর। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে গড়ে ওঠছে নতুন নতুন শিল্পকারখানা।গ্রামীণ পরিবেশের জায়গায় এখন বিরাজ করছে শহরের পরিবেশ। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সহজলভ্যতা আর মহাসড়ক দিয়ে সহজে যোগাযোগের কারণে উদ্যোক্তারা বেছে নিয়েছেন পাহাড়ঘেষা এই জনপদকে।
রেল অথবা সড়কযোগে ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে সিলেট যাবার পথে মাধবপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধার চত্তর নামক স্থানে এসে রাস্তার দুই দিকে তাকালে কেবল চোখে পড়বে নতুন নতুন কলকারখানা। হঠাৎ মনে হতে পারে এ আবার কোন শহর ?
সম্পর্কিত খবর
মাত্র কয়েক বছর আগেও ওইসব এলাকায় একটি ডিপকলের শব্দ পর্যন্ত শোনা না গেলেও এখন সেখানে আধুনিক কলকারখানার শব্দে ঘুম ভাঙ্গে এলাকাবাসীর।
আধুনিক জীবনধারা থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিল ওলিপুর এলাকা। এখন সে এলাকার চেহারা পাল্টে গেছে পুরোপুরি। ৫ বছর আগের ওলিপুর এলাকার সাথে এখানকার ওলিপুরের তফাৎ এখন আকাশ পাতাল ব্যবধান। এখানে ক্রমেই বাড়ছে কলকারখানা; উৎপাদন হচ্ছে দেশীয় অনেক নতুন নতুন পণ্য। তৈরি হচ্ছে হাজার হাজার লোকের কর্মক্ষেত্র।উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ওলিপুর এলাকায় গড়েওঠা বিভিন্ন কোম্পানিতে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এর মধ্যে শুধু প্রাণ কোম্পানিতেই কাজ করতে পারবে ৬৫ হাজার লোক।
ওলিপুর, নুরপুর, রাজিউড়া, শায়েস্তাগঞ্জ, নছরতপুর, উবাহাটা, কাজির গাঁও, নিশাপট, লাদিয়া, সুদিয়াখলা, শরিফাবাদ, লস্করপুর, পুরাসুন্দা, ব্রাম্মনডুরা, মির্জাপুরসহ আশপাশের এলাকার কর্মক্ষম লোকেরা আগে যেখানে ঘুরে বেড়াতো কাজের সন্ধানে এখন তারা দল বেঁধে কাজ করছে এসব কোম্পানিতে।ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে প্রাণ আরএফএল, রংপুর ফাউন্ডি লিমিটেড, স্কয়ার ফ্যাশন, সিপি বাংলাদেশ, আরএকে সিরামিক্স, তাসহিদ কটন মিলস, স্টার সিরামিক্স কোম্পানি।
যে ওলিপুর এলাকার জমি কিছুদিন আগেও বিক্রি হতো পানির দামে এখন সেটি সোনার চেয়েও বেশি দামী। বর্তমানে প্রতি শতক জমি বিক্রি হচ্ছে আড়াই লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পযর্ন্ত। কোন কোন স্থানে দশ লাখের বেশি টাকা দিয়ে শতক কিনছেন কোম্পানী মালিকরা । সব মিলিয়ে এক সময়ের নিস্তব্দ পল্লী এখন পুরোপুরি কর্মমুখর।