কোন দিকে যাচ্ছে কুলাউড়া বিএনপির রাজনীতি ?
একদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দন্ড অন্যদিকে তাঁর মুক্তি নিয়ে শুরু হয়েছে ধুম্রজাল। দলের ২য় প্রধান নেতা তারেক রহমানও দেশের বাইরে। চলছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ক্রান্তীকাল। দেশ জুড়ে অব্যাহত আছে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরপাকড়। বাড়ী বাড়ী পুলিশি তল্লাশীতে গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া সিংহভাগ নেতাকর্মী। সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাশকতার আশঙ্কায় আটক করেছে বিএনপি, ছাত্র দল ও সেচ্ছাসেবক দলের একাধিক নেতাদের।
তবে সম্প্রতি কুলাউড়ায় আবেদ রাজার অনশন নিয়ে স্থানীয় বিএনপির রাজনৈতিক মোড় কোন দিকে যাচ্ছে এমন সব আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে দলের অভ্যন্তরে।স্রোতের বিপরীতে জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি এড. এএনএম আবেদ রাজার আমরন অনশন ইতিমধ্যে সাড়া জাগিয়েছে দেশ জুড়ে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের পুলিশি গ্রেফতার থেকে রক্ষা করতে আবেদ রাজার ‘একা’ অনশনের অবস্থান নেওয়াতে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে। তদের মতে আবেদ রাজার এ ত্যাগে স্থানীয় বিএনপির বিপরীত বলয় দলের জন্য কতটা উপকারী সেটাই দেখার বিষয়।
সম্পর্কিত খবর
তবে কি সাবেক এমপি এড. নবাব আলী আব্বাছ খান ও এমএম শাহিন সমর্থের পাকা ধানে মই দিলেন অনশনে থাকা এএনএম আবেদ রাজা।আবেদ রাজার অনশনকে ঘিরে উৎসুক জনতার আগ্রহের শেষ নেই। চায়ের দোকান থেকে প্রশাসনিক টেবিল অবদি আবেদ রাজার অনশনের আলোচনা স্থান পেয়েছে।
বিএনপির দলের ক্রান্তিকাল সময়ে এমএম শাহীন সুদূর আমেরিকা অবস্থান করা আর আবেদ রাজা মাঠে অনশনে অনড় থাকার ক্ষেত্রে উপজেলা বিএনপির আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে মূল্যায়নের বিষয় রয়েছে ভবিষ্যতে। না কি কুলাউড়া বিএনপির নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব পাবেন আবেদ রাজা।
কুলাউড়া থানা কার্যালয়ের সম্মুখে, ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের দলীয় অফিসের নিকটে কুলাউড়ার স্বাধীনতা স্মৃতি সৌধে প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে আমরণ অনশনে বসেন আবেদ রাজা। দুপুর থেকে রাত অবদি দীর্ঘ ১১ ঘন্টা পার করে রাত ১টায় ডায়বেটিসজনিত রোগের কারনে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার দ্রুত স্যালাইনের ব্যবস্থা করে দেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (১৫ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টা) এখনো তিনি অনশনে আছেন। তিনটি দাবী বাস্তবায়নের জন্য তার এ অনশন।