পুলিশ ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ১০জন গুলিবিদ্ধ
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে টিলার মালিকানা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে গ্রামবাসীর বিরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১০জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এঘটনায় আশংকাজনক অবস্থায় ২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ভাদেশ্বরী ইউনিয়নে সুন্দ্রাটিকি গ্রামের রামপুর চা বাগানে এঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আব্দাল (৩৫),হাবিব উল্লাহ (২৮),রেনু মিয়া (৩০), সোহেল মিয়া (২৫), বিলাল মিয়া (৩০), আব্দুল কদ্দুছ (৪৪), মোজাম্মেল (২৮), আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ইদ্রিস আলী (৭০) অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
সম্পর্কিত খবর
পুলিশ জানায়, উপজেলার ভাদেশ্বরী ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের রামপুর চা বাগানে সরকারী জায়গা দখল করে সুন্দ্রাটিকি গ্রামের লোকজন রাতে টিন দিয়ে দুটি ঘর নির্মান করে দখল করে নেয়।এদিকে রামপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ও বাহুবল মডেল থানাকে অবহিত করলে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
জায়গার কাগজপত্র হাতে নিয়ে তৈরি কৃত ঘরের আশপাশে দাড়িয়ে দখল নিশ্চিত করতে প্রস্তুত গ্রামবাসীর একাংশের লোকজন। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই সরকারী ভূমি থেকে গ্রামবাসীদের সরে যেতে বললে তারা যেতে চায়নি। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে প্রশাসনের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ অর্ধশতাধিক শর্টগান ও গ্যাস গান নিক্ষেপ করে তাদেরকে চত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়।
এঘটনায় বাহুবল থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুক আলী জানান, সরকারী জায়গা থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গেলে দখলদাররা পুলিশের উপড় চওড়া হয় এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রশাসনের দিকে ধাওয়া করে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছুড়ে।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দীন জানান, এই জায়গাটি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ কয়েকবার বসেছি। এক পর্যায়ে আমরা তাদেরকে ৮ একর জায়গা দিয়ে দিব বলার পরও তারা সরকারী ভূমি ছাড়ছেনা। তারা দাপট দেখিয়ে সরকারী ভূমিতে ঘর তৈরি করেছে।এঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।