জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঝুঁকিতে ভোলার নারী ও শিশু
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিনিয়ত দক্ষিনঞ্চালের সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। এর ফলে মিঠা পানির এলাকা গুলো লবনাক্ত হয়ে পড়ছে, কৃষক তার কৃষি জমি হারাচ্ছে। নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা চরম হুমকির মুখে পড়ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্ভাস্ত মানুষের সংখ্যা। এর জন্য দরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ। সোমবার জেলা প্রশাসন ও সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভায়ারন মেন্টাল রিসার্চের আয়োজনে এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, নদী ভাঙ্গনের সাথে সাথে দ্বীপ জেলা ভোলার আয়োতন দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে উপকূলীয় জেলা ভোলার মানুষ মানিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা । জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নানাবিষয়ের কথা বলেছেন “জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন” বিষয়ক কর্মশালায়।
সম্পর্কিত খবর
তারা আরও বলেন, ভোলা একটি ঘুর্ণিঝড় ও নদীভাঙন প্রবণ দ্বীপাঞ্চল। ঝড় ঝঞ্চার সাথে সংগ্রাম করে বেড়ে ওঠে এখানকার লড়াকু মানুষ। জীবন সংগ্রামের কারনেই তারা পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শিশু ও নারীরা। এক্ষেত্রে অর্থিক সংকটের কারনে জীবনযাত্রায় বিরুপ প্রভাব পরায় সামাজিক নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও উপকূলীয় অঞ্চলে এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক মানুষই সচেতন। স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, স্যানিটেশনসহ অন্যান্য বিষয়গুলো কমিউনিটির লোকজনদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার কৌশল নির্ধারন করতে হবে বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন জলবায়ু পরিবর্তনে বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় একাডেমিক জ্ঞানের সাথে স্থানীয় মানুষের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে স্বমন্নিত পথ নকশা তৈরি করার প্রতি গুরাত্বারোপ করেন। জলবায়ু অভিযোজনে শিশু ও যুবদের ক্ষমতায়িত করতে হবে। তাদেরকে কল্পনার সুযোগ দিতে হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
এলসিবিসি অফিসার মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন - বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া, প্লানিং ও মনিটরিং অফিসার আল মুুমিন মো. গোলাম সরোয়ার, প্রোগ্রাম অফিসার আ: জলিল, ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মাহামুদুল হক আজাদ, কোস্ট ট্রাস্ট টিম লিডার রাশিদা বেগম, আইইসিএম প্রকল্পের সম্মনয়কারী মো. মিজানুর রহমান, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি নেয়ামত উল্ল্যাহ , যুবরেড ক্রিসেন্ট এর যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু প্রমূখ।