জমি দখল নিতে নারীসহ ৭জনকে পিটিয়ে আহত

ভোলায় জোরপূর্বক অন্যের আবাদ করা জমি দখল করতে নারীসহ ৭জনকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ নাছির উদ্দিন গং। সোমবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের গাজীর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার আবুল কাশেম (৭০), আ. মজিদ (৬৫), রোকেয়া বেগম (৫০), বকুল বিবি (২৫), রুমা আক্তার (২০) ও ইয়ানুর বেগম (৩০)। তারা বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত আ. মজিদ জানান, চরগাজী মৌজার ১৮৬ নং খতিয়ানের প্রায় তিন একর জমি তারা পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগ করে আসছে। এরই মধ্যে গত দুই মাস ধরে স্থানীয় নাছির উদ্দিন গংরা তাদের ভোগ দখলীয় দুই একর জমি ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে দাবি করে।

এ নিয়ে ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র একটি অভিযোগ দাখিল করলে ফাঁড়ির ইনচার্জ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে বিষয়টি মীমাংসা করার দায়িত্ব দেন।পরে ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার স্থানীয় ইউপি সদস্য গজনবী গোলদার, ইউনুছ কমান্ডার, কবির হোসেন, সিরাজ গোলদার, নাছির গোলদারসহ উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে মিমাংশায় বসে।

এতে নাছির উদ্দিন গংদের আনা কাগজপত্র ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এবং সালিশে উপস্থিত লোকদের সামনে নাছির গংদের সঠিক কাগজপত্র নিয়ে আসতে পারলে জমি বুঝিয়ে দিবে বলে জানিয়ে দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য গজনবী গোলাদার। সে পর্যন্ত জমি আবুল কাশেম গংদের দখলে থাকবে। এ রায়ের প্রেক্ষিতে আবুল কাশেম গং সোমবার সকালে ওই জমিতে ইরি ধান রোপন করে।

পরে সকাল ১০টার দিকে জামালের নির্দেশে নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে ছেলে জাকির হোসেন, সোহাগ, আমির হোসেন, জাহিদ ও ইসমাইলসহ লাঠি ও দেশীয় অস্রসহ ওই জমি দখল নিতে যায়। এবং জমিতে রোপন করা ইরি ধানের চারা উপড়িয়ে ফেলে।এসময় আবুল কাশেম ও আ. মজিদ তাদেরকে বাধা দিতে আসলে তারা লাঠি ও দেশীয় অস্র দিয়ে এলোপাথারি মারধর কুপিয়ে জখম করে।

এসময় বাড়ি থেকে মহিলা দেখে তাদেরকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে নাছির উদ্দিন গংরা। পরে স্থানীয়রা ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দিলে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

এব্যাপারে অভিযুক্ত নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা তাদের উপর হামলা করিনি। তারা উল্টো আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে একজনকে আহত করেছে। সে ভোলা সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই গোলাম মাওলা বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এখনও পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।