পাঁচ বছর পর টেইলরের সেঞ্চুরি
চাপে পড়া অবস্থা থেকে দলকে চাপ মুক্ত করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর। সেই সাথে পাঁচ বছর পর টেস্টে নিজের সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। এটি টেইলরের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের সাথে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করলেন জিম্বাবুইয়ান ডান হাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। ১৮৭ বল খেলে ৮টি চারের মারের সাহায্যে সেঞ্চুরি পূরণ করেন টেইলর।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৫ রান। টেইলর ১০০ রানে এবং রেগিস চাকাভা ০ রানে ব্যাটিং করছেন।
সম্পর্কিত খবর
৮০ রানে ব্যাটিং করা পিটার মুরকে আরিফুল হক এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন।
এর আগে ৩ উইকেটে ১০০ রান করে প্রথম সেশন শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরে দলীয় স্কোরে ৩১ রান যোগ করতেই আরো দুইটি উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। ব্যক্তিগত ১১ রানে তাইজুলের তৃতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন সিলেট টেস্টে বাংলাদেশকে ভোগানো শন উইলিয়ামস। এরপর রানের খাতা খোলার সুযোগ না দিয়ে রাজাকেও বোল্ড করেন তাইজুল।
এদিকে প্রথম সেশনের শেষ দিকে টাইগারদের জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে ওঠা চারিকে ফেরান মিরাজ। জিম্বাবুয়ের দলীয় রান তখন ৯৬, ব্যক্তিগত ৫৩ রানে ব্যাট করছিলেন চারি। এসময় মিরাজের করা একটি বল চারির প্যাডে লেগে গ্লাভস ছুঁয়ে মুমিনুল হকের তালুবন্দী হয়। থার্ড আম্পয়ার নিশ্চিত করেন চারির আউট।
দলীয় ২০ রানে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে হারিয়েছিল সফরকারীরা। ব্যক্তিগত ১৪ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। এরপর তাইজুলের করা ইনিংসের ২৯তম ওভারের চতুর্থ বলে মিরাজের তালুবন্দী হয়ে মাঠ ছাড়েন ডোনাল্ড তিরিপানো (৮)।
প্রসঙ্গত, মুশফিকুর রহীমের মহাকাব্যিক ইনিংসে ভর দিয়ে বড় রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। এ সংগ্রহে অবদান ছিল মুমিনুল হকের ধ্রুপদী ইনিংসটিরও। মুশফিক ২১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর মুমিনুল ১৬১ রান করে আউট হন। তবে শেষ দিকে মুশফিককে সঙ্গ দিয়ে অপরাজিত ৬৮ রানের এক অসামান্য ইনিংস খেলেছেন মিরাজও। /এস কে