• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

খারাপ খেললে সব ভুলে যাবেন: ইমরুল

প্রকাশ:  ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:০৫
স্পোর্টস ডেস্ক

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রানের দারুণ ইনিংসের পর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচে ৯০, আর আজ আবার ১১৫। সব মিলিয়ে ৩৪৯ রান। তামিম ইকবালের রেকর্ড ভেঙ্গে তিন ম্যাচ সিরিজে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত অর্জন। সবচেয়ে বেশি রান। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং পারফরমেন্স।

শুধু ইমরুল কায়েসের একার ক্যারিয়ারই নয়, বাংলাদেশের কোনও ব্যাটসম্যানের তিন ম্যাচের সিরিজে সেরা ব্যাটিং নৈপুণ্য এটা। ধারাবাহিকভাবে তিন ম্যাচে এমন ভালো খেলার পুরস্কারটা জুটে তার কপালে নগদ। সিরিজ সেরা পারফরমারের পুরস্কার ইমরুল কায়েসের হাতে।

এ সিরিজের আগে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭২ করার পরের দুই ম্যাচে দুই অংকের কোটাও ছুঁতে পারেননি যে কায়েস, আর তারব্যাট থেকে টানা তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস, তাও দু’টি সেঞ্চুরি। সেই সাথে ওয়ানডেতে তার অর্ধশতক ১৬টি। ৩০ থেকে ৪৯ এর মধ্যে ইনিংস খেলেছে ১৩টি। অর্থাৎ মোটামুটি রান করেই গেছেন তিনি।

কিন্তু ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে পরের মার্চ পর্যন্ত টানা ৭ ম্যাচ দুই অঙ্ক ছুতে পারেননি ইমরুল। তবে তারপর থেকে আর এতটা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি তাকে। মোটামুটি ধারাবাহিকই ছিল তার ব্যাট। তারপরেও মাঠে মধ্যেই বাদ পড়েছেন। তাই, চারদিকের এত প্রশংসার মাঝে গা ভাসিয়ে দিচ্ছেন না ইমরুল।

বলেন, বলা হচ্ছে ইমরুল এখন অনেক ম্যাচিউর ব্যাটসম্যান, ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান কিন্তু দেখেন, ২০১০ সালে আমি কিন্তু এক হাজারের কাছে রান করেছিলাম। তখন কিন্তু এই জিনিসগুলো নিয়ে অনেক কিছুই বলা হয় নাই। কারণ, আমার সেঞ্চুরি কম ছিল। এখন হয়তো সেঞ্চুরি করেছি তাই সবার চোখে পড়েছে।

টাইগার এ ওপোনার বলেন, রান কিন্তু আমি আগেও করেছি, এখনও করছি। হয়তো আগেরগুলো (ইনিংসগুলো) বড় হয় নাই। এখন চেষ্টা করি, সেট হয়ে গেলে ইনিংসটা বড় করার এবং টিমে যখন যেভাবে প্রয়োজন সেভাবে খেলার।

গত বেশ কিছুদিন ধরে তাকে নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা হচ্ছে। স্পটলাইটের আলোটা যেনো পুরোপুরি তারই ওপর। এই বিষয়টা কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নে উত্তরে ইমরুল বলেন, ভালো লাগে অবশ্যই। নিজের প্রশংসা যদি সবাই করে তা শুনতে ভালোই লাগে।

তিনি বলেন, ভালো লাগার পরেও নেগেটিভ জিনিসটাও চিন্তা করতে হয়ে। তো আমি ওইটাই চিন্তা করেছি। হয় তো বা আজকে ভালো খেলছি বলে আপনারা আমাকে অনেক কিছুই বলছেন, কালকে খারাপ খেললে আবার ওই জিনিসগুলো ভুলে যাবেন। আসলে সবগুলোই চিন্তা করতে হয়। কিন্তু, দিনশেষে নিজের পারফর্ম্যান্সে ফোকাস করাটাই ব্যাটার।

তামিম থাকলে তারওপর দলের একটা ভার থাকে। ভালো একটা স্টার্টের জন্য তার দিকেই তাকিয়ে থাকে। ইনজুরির কারণে দলে নেই তামিম ইকবাল। অপরদিকে ফর্মের তুঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ ইমরুল। এখন তাই, ভালো শুরুর প্রত্যাশাটা ইমরুলের কাছে করাই যায়।

ইমরুল এটাকে কী চাপ হিসেবে নিবেন নাকি উৎসাহ হিসেবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তার সরাসরি উত্তর, ওয়ানডে সিরিজেও তো একই অবস্থা ছিল। ওইভাবে আসলে চিন্তা করি নাই যে, তামিম নাই বা কী হচ্ছে। আমি চেষ্টা করেছি আমার কাজটা সঠিকভাবে করার। টেস্ট ম্যাচেও চেষ্টা থাকবে, যদি সুযোগ পাই তাহলে আমার কাজটা সঠিকভাবে করার।

আগামী শনিবার (৩ নভেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে নামছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে। মাসাকাদজাদের হালকাভাবে নিচ্ছেন না ইমরুল। বলেন, জিম্বাবুয়ে টিমের খেলোয়াড়রা অন্যান্য দলের টেস্ট ক্রিকেটারদের থেকে বাংলাদেশের মাটিতে বেশি রান করেন। হয়তো বা তারা কোনোভাবে আমাদের সাথে হেরে যায় কিন্তু তারা খারাপ টিম না।

/অ-ভি

জিম্বাবুয়ে,বাংলাদেশ,ক্রিকেট,ইমরুল কায়েস,টেস্ট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close