এগিয়ে থেকেও হতাশার হার জার্মানদের
কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না জামানির। গতরাতে পেনাল্টি থেকে গোল নিয়ে এগিয়ে থেকেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে জার্মানিকে। এদিন ফ্রান্সের জয়ে দুটি গোল করেন এন্টনি গ্রিজম্যান।
ম্যাচের শুরুটা দারুণ ছিল জার্মানির। লিরয় সানে, সার্জ গানাব্রি এবং টিমো ভার্নার দিয়ে গড়া আক্রমণভাগ সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় রাফায়েল ভারানরা। মাঝমাঠের দখলটাও ছিল জার্মানদের হাতে। ক্রুসদের সাথে কোনোভাবেই পেরে উঠছিলেন না পল পগবারা। জার্মানদের গোলটা এসেছে পগবার ভুলেই। মাঝমাঠে বল হারিয়ে জার্মানদের প্রতি-আক্রমণের সুযোগ করে দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার। ১৩ মিনিটে জশুয়া কিমিচের পাস থেকে ফ্রেঞ্চ ডিবক্সে বল পেয়ে যান সানে। ডিবক্সে তার ক্রস ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার প্রেস্নেল কিম্পেম্বের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। ১২ গজ থেকে হুগো লরিসকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি ক্রুস।
সম্পর্কিত খবর
এক গোলে এগিয়ে থেকে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে জার্মানি। ফ্রান্সকে কোনোভাবেই ম্যাচে ফেরার সুযোগ দিচ্ছিল না তারা। কিন্তু বেশ কয়েকবার সুযোগ পেলেও ব্যবধান আর দ্বিগুণ করা হয়নি তাদের। দুইবার লরিসকে একা পেয়েও গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন সানে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ বাড়িয়ে খেলতে থাকে ফ্রান্স। ৫৪ মিনিটে পগবার দূরপাল্লার আগুনে শট ফিরিয়ে দেন নয়্যার। কিন্তু এর মিনিট দশেক পর আর শেষরক্ষা হয়নি জার্মানদের। ৬২ মিনিটে লেফটব্যাক লুকাস হার্নান্দেজের ক্রসে দুর্দান্ত এক হেডে দলকে সমতায় ফেরান গ্রিজম্যান। ৭৮ মিনিটে ডিবক্সে ব্লেইজ মাতুইদিকে ফেলে দিয়ে ফ্রান্সকে পেনাল্টি উপহার দেন হামেলস। পেনাল্টি থেকে ব্যক্তিগত ও দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করে গ্রিজম্যান। এই গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। ফলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।/রবিউল