আইপিএলে বেটিং নিয়ে মুখ খুললেন প্রীতি জিনতা
আইপিএল বেটিং নিয়ে একাধিক বার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ক্রিকেটারদের। ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরও নির্বাসনে যেতে হয়েছে। এবার সেই বেটিংকেই আইনত সিদ্ধ করে দেওয়ার দাবি তুললেন প্রীতি জিনতা। যা নিয়ে ক্রিকেট মহলে জোর শোরগোল।
ক্রিকেট বিশ্বের জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএল। অর্থ, যশ, প্রতিপত্তি আইপিএল খেলেই মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো রোজগার করা যায়। তবে সেই আইপিএল-এই বিতর্কের কালো মেঘ ছেয়ে এসেছে বেশ কয়েকবার। সম্প্রতি সালমান খানের ভাই আরবাজ খান নিজে স্বীকার করেছেন আইপিএল-এ জুয়া খেলার কথা। তার ২.৮০ কোটি টাকা লোকসানও হয়েছে। সোনু জালান নামের এক বুকিকে জেরা করার পরেই উঠে আসে আরবাজের নাম।
সম্পর্কিত খবর
প্রীতি জিনতা বলে দিলেন, আইন করে আইপিএল-এ বেটিং চালু করার উচিত সরকারের। প্রীতি জিনতার মতে, মেগা ইভেন্টকে ঘিরে যেভাবে দুর্নীতি চলে, তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রীতি বলেছেন, ‘‘সরকার যদি বেটিং আইন করে চালু করে, তাহলে সরকারের কোষাগারে ভালো আয়ের অঙ্ক ঢুকবে। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেককে গড়াপেটা থেকে সরিয়ে রাখা সম্ভব নয়। কতজনকে আপনি আটকে রাখতে পারবেন? এই জন্যই আমি বলেছিলাম, র্যানডম লাই ডিটেক্টর টেস্টের বন্দোবস্থ করতে।’’
এখানেই না থেমে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মালকিন বলে দিয়েছেন, ‘‘বিসিসিআইয়ের উচিত লাই ডিটেক্টর টেস্টকে তাদের নিয়মের অংশ করে নেওয়া। তাহলে প্রত্যেক ক্রিকেটারের কাছেই ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কাজ করবে। এটাই হওয়া উচিত।’’
আইপিএল-এর ইতিহাসে সবথেকে কলঙ্কজনক অধ্যায় ধরা হয় ২০১৩ সালের ঘটনাকে। স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে বেশ কিছু ক্রিকেটার ধরা পড়েছিলেন। শ্রীসান্থের কেরিয়ারই শেষ হয়ে যায় তার পরে। তার পরেও গড়াপেটার কালো থাবা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি আইপিএল।
প্রীতি জানিয়েছেন, ‘‘কেউ আমাকে এমন প্রস্তাব দিলে তার পরেও কি সে বেঁচে থাকবে? আমি সরাসরি পুলিশের কাছে নিয়ে যাব তাকে। সিনে জগৎ থেকে কিছুদিন আগেই বেরিয়েছি। টানা দশ বছর ধরে একটা স্টুডিওর মধ্যে ক্যামেরার সামনে এক কিছু চরিত্রের মধ্যে বেঁচেছিলাম, যেগুলো আমি মোটেই ছিলাম না।’’ এর পরেই প্রীতি বলেছেন, ‘‘হঠাৎ করেই সিনে জগৎ থেকে ক্রিকেট মাঠে প্রবেশ করলাম, তখন সকলেই আমার কাছে অপরিচিত ছিল।’’
/এস কে