মুশফিকের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ১৩ বছর
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দেখেছেন অনেক উত্থান-পতন। তবে ভেঙে পরেননি কখনও। আর তার এই লেগে থাকা স্বাভাবটিই তাকে করেছে আরও অভিজ্ঞ। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফরের সবচেয়ে বড় চমকের নাম ছিল মুশফিকের রহীম। নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অপরাজিত ১১৫ রানের এক ইনিংস দিয়েই চমকে দেওয়ার শুরু। মাত্র ১৬ বছরের একটা ছেলের কাছ থেকে এমন দুর্দান্ত পাফরম্যান্সের খবর উঠে আসে ইংলিশ মিডিয়াতেও। স্কোয়াডে জায়গা করে নেন দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে। ২৬ মে লর্ডসের প্রথম টেস্টে তার অভিষেক হয় একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে।
২০০৭ বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ মুশফিক। ২০১৮ সালে দাঁড়িয়ে মুশফিক দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারই শুধু নন, দেশের ক্রিকেটে নিজের নামটা তিনি আলাদা করেই লিখে ফেলেছেন ইতিমধ্যে।
সম্পর্কিত খবর
শনিবার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ বছর পূর্তি হলো মুশফিকুর রহিমের। এই দীর্ঘ যাত্রায় পাশে পেয়েছেন বাংলাদেশের সমর্থকদের। তাই তাদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি মুশফিক।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ভ্যারিফাইড পেজে তিনি লিখেছেন, বিশ্বাসই করতে পারছি না আমি ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি... ওহ সময় কিভাবে চলে যায়। এই দিনটি সব সময়ই আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় আমি কতটা ভাগ্যবান জাতীয় দলের জার্সি পরতে পেরে। সব কিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। সর্বশক্তিমান আল্লাহ রমজান মাসে আমাদের সব দোয়া কবুল করেন...। তাই দয়া করে সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করবেন। সবাইকে ভালোবাসা।
১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ৬০টি টেস্ট, ১৮৪টি ওয়ানডে ও ৬৮টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক। টেস্টে তার রান ৩৬৩৬, ওয়ানডেতে ৪৭১৮ ও টি-টুয়েন্টিতে ১০১২। দেশকে ৩৪টি টেস্ট, ৩৭ টি ওয়ানডে ও ২৩টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক। টেস্টে দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়কও তিনি। মুশফিকের অধীনেই অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দেশকে টেস্ট হারায় বাংলাদেশ।
অভি