দেরাদুনে বড় ইনিংস খেলতে চাই: সৌম্য সরকার
২০১৪ সালের ১লা ডিসেম্বর ওয়ানডে দলে অভিষেকের পর ক্রিকেটের প্রতিটি ফর্মেটেই নিয়মিত খেলছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। শুরুর দিকে দুর্দান্ত এক একটি ম্যাচ খেলে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরতার মুর্ত প্রতীক। কিন্তু ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ঘরের মাঠে দ. আফ্রিকা সিরিজের পরই তার ছন্দ পতন শুরু হয়।
এরপর থেকে গেল বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দ. আফ্রিকা সফর পর্যন্ত খেলা টানা ১৬ ওয়ানডেতে কোন শতকের দেখা পাননি এই ওপেনার। প্রায় আড়াই বছরে তার উল্লেখ করার মত ছিল কেবল গেল বছরের মে মাসে ডাবলিনে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসটি। একই সিরিজে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৬১ রানের আরেকটি ইনিংস।
সম্পর্কিত খবর
এছাড়া আর কোনও ম্যাচেই তিনি ব্যক্তিগত ৪০ রানের কোঠাও স্পর্শ করতে পারেননি। টেস্ট ক্রিকেটেও তার অবস্থা তথৈবচ। সাদা পোষাকে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলা এই ওপেনার গেল মার্চে শ্রীলঙ্কা সিরিজে গলে ৭১ রানের পর কলম্বোতে খেলেছেন ৬১ রানের ইনিংস। এরপর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ও দ. আফ্রিকা সফরে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।
আর টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৮ রান করা সৌম্য দ. আফ্রিকা সফরে দুই ম্যাচে ৪৪ ও ৪৭ রান করলেও হালে তার বলার মত আর একটি ম্যাচ ছিল গত বছরেরর শুরুতে নিউজিল্যান্ডে। মাউন্ট ম্যাঙ্গানুইয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি টোয়েন্টিতে ৩৫ বলে খেলেছিলেন ৪২ রানের এক ইনিংস।
বছরের শুরুতে ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের ১৬ সদস্যের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন। নিদহাস ট্রফিতে খেলা পাঁচ ম্যাচের মাত্র একটিতে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন সৌম্য। বাকি চার ম্যাচে কখনও তিন, কখনওবা পাঁচেও ব্যাট করেছেন। ৫ ম্যাচ থেকে সাকুল্যে সংগ্রহ করেছিলেন ৫০ রান।
তবে জুনে দেরাদুনে অনুষ্ঠেয় আফগান সিরিজ দিয়ে আবার রানে ফিরতে চাইছেন এই বিষ্ফোরক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, সামনে তিনটা ম্যাচ আছে। সেখানে ভালো শুরু করতে চাই। নিদাহাস ট্রফিতে বড় রান করতে পারিনি, কিন্তু দেরাদুনে বড় ইনিংস খেলতে চাই। একটা বড় ইনিংসই পারে সব বদলে দিতে।
সৌম্য বলেন, সবাই ভালো করতে চায়। কিন্তু প্রত্যেকদিনই তো ভালো করা যায় না। প্রত্যেকদিন ভালো করলে চাওয়া-পাওয়ার শক্তিটা কমে যায়। যেহেতু খারাপ সময় দিয়ে যাচ্ছি, ওখান থেকে কে কতটা কঠোর পরিশ্রম করে আগাতে পারি ওটাই চিন্তা করি।
তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করি আমার জায়গায় আমার খেলার। ভালো খেলারই চেষ্টা করি, তারমধ্যে খারাপ ভালো মিলিয়ে হয়ে যায়। শেষ কয়েক ম্যাচ তো ভালো করিনি। নিজের কাছে তাদিগ থাকে ভালো করার। তারপর মানুষের কথা শুনলে মনে হয় আসলেই খারাপ খেলছি। যত কথা শুনি তত মনে পড়ে। চেষ্টা করি এসব না শুনে অনুশীলনে জোর দিতে।
অভি