• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

যুব অলিম্পিক হকির মূলপর্বে খেলতে চায় বাংলাদেশের যুবারা

প্রকাশ:  ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ১৫:৪৭
স্পোর্টস ডেস্ক

আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে আগামী অক্টোবরে বসছে যুব অলিম্পিকের আসর। যুবাদের বৈশ্বিক এই সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসরের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। ২৫ এপ্রিল হকি ইভেন্টের বাছাই পর্বে প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। নিজেদের সেরাটা দিয়ে মূল পর্বে খেলার আশা করছে লাল সবুজের যুবারা।

তবে এবার বাছাইপর্বের গন্ডি পাড় হওয়াটা অনেক কঠিন বাংলাদেশের যুবাদের জন্য। আগামী ২৫ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে হবে যুব অলিম্পিকের বাছাইপর্ব। পুল ‘বি’তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, চাইনিজ তাইপে এবং কম্বোডিয়া। পুল ‘এ’তে আছে ভারত, কোরিয়া, জাপান, হংকং এবং থাইল্যান্ড। গ্রুপ থেকে সেরা টি দল সেমিফাইনালে খেলবে। যে দুটি দল ফাইনালে ওঠবে তারাই মুল পর্বের টিকিট কাটবে।

সম্পর্কিত খবর

    আগের আসরের মতো এবারও ফাইনাল খেলার স্বপ দেখছে বাংলাদেশের যুবারা। বুধবার (১৮ এপ্রিল) যুব হকি দলের ফটোসেশন ও জার্সি উম্মোচন অনুষ্ঠানে সেই স্বপ্নের কথা জানালেন যুব হকি দলের অধিনায়ক সোহানুর রহমান সবুজ। গতবারের মতো এবারও আমাদের টার্গেট মূল পর্বে খেলা। আশা করি ফাইনাল খেলতে পারব।

    মালয়েশিয়ান কোচ গোবিনাথন কৃষ্ণমূতি বলেণ, আসন্ন বাছাই পর্বে সাফল্যের আশায় রয়েছে তার দল। টুর্নামেন্টে এশিয়ার সেরা দলগুলো সঙ্গে লড়বে বাংলাদেশ। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে যুব হকি দল। দলে রয়েছে প্রতিভাবান কিছু খেলোয়াড়। বাছাই পর্বে ইতিবাচক খেলে সাফল্য পেতে চায় গোবিনাথনের দল।

    গোবিনাথন আগে জানিয়েছিলেন, হকিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচে খুব ভালো করতে না পারার কারণ হলো প্রস্তুতি ম্যাচের অভাব। প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে বড় মঞ্চে গিয়ে খেলোয়াড়রা চাপ অনুভব করেন না। প্রস্তুতি ম্যাচ বেশি খেললে ছেলেরা খেলার সময় টেমপারমেন্ট ধরে রাখতে পারে এবং বেশি চাপ নিয়ে ভালো খেলতে পারে। সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছে যুব হকি দল।

    এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের কোচ ছিলেন গোবিনাথান। আবার দায়িত্ব নিয়ে সাফল্য পেতেই মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। এদিকে হকি ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক জানান, দল ভালো করবে বলে প্রত্যাশা তার। বাছাই পর্বে সাফল্য পাবে হকি দল।

    সাধারনত হকি যেভাবে খেলা হয়, যুব অলিম্পিকে পুরোটাই ভিন্ন। প্রতিটি দলে পাঁচজন করে খেলে। মাঠের অর্ধেক জায়গায় খেলা হয়। চারপাশে বোর্ড থাকে। অনেকটা ক্যারম বোর্ডের মতো মাঠের অবস্থা। ফাইভ-এ সাইড খেলায় কোনো ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার কিংবা ডিফেন্ডার বলতে কিছু নেই। পুরো খেলাটাই হলো পাওয়ার হিটিং। যেকোনো জায়গা থেকে গোল করতে পারবেন হকি খেলোয়াড়রা। খেলোয়াড় পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও কোনো নিয়ম নেই। চাইলে পুরো পাঁচজনকেই পরিবর্তন করতে পারবেন কোচ। ম্যাচের সময় ৩০ মিনিট। ১০ মিনিট পর তিন মিনিটের বিরতি। যে কারণে একদিনে দুই ম্যাচও খেলতে হবে দলগুলোকে। ২৬ এপ্রিল বাংলাশে খেলবে কম্বোডিয়া এবং মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। পরের দিনও দুটি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপে ও পাকিস্তান।

    /এস কে

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close