চার দিন আটকে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ, টাকা দাবি
বরিশাল একটি গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে অপহরণের পর ৪ দিন ধরে আটকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকার খিলগাঁও থেকে দুই ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
রোববার (১৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার মো. মোশাররফ হোসেন।
সম্পর্কিত খবর
আটককৃতদের নাম- রিপন হাওলাদার ও মিরাজ। আটক মিরাজ পিরোজপুরের অমিতপুর গ্রামের নান্না হাওলাদারের ছেলে এবং রিপন একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। তারা পেশায় অটোচালক। অপহৃতদের বাড়ি নগরীর চহঠা এলাকায়।
জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেরাদিয়া প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন এলকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের আটক করে বরিশালে নিয়ে আসা হয়।
গ্রেফতার দুই যুবক পুলিশকে জানিয়েছে, গত দুই মাস থেকে ওই দুই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে মোবাইলে তাদের কথা চলছিল। তারা দুইজন একাধিক সন্তানের জনক হলেও নিজেদের স্কুলছাত্র পরিচয় দিয়ে দুই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
বুধবার দুই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কাশিপুর এলাকায় দেখা করে তারা। বয়স বেশি হওয়ায় দুই স্কুলছাত্রী তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায়। সেইসঙ্গে তাদের প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে ছাত্রীরা।
এ সময় তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই ছাত্রীকে ঢাকার সিপাহীবাগ নিয়ে যায়। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে দুই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে তারা।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি এআর মুকুল বলেন, গত ১৪ নভেম্বর ওই দুই ছাত্রী নিজ নিজ বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়ার পর অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইলে দুই ছাত্রীর কান্না অভিভাবকদের শোনায় অপহরণকারীরা। এরপর থানায় সাধারন ডায়েরি হলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর সিপাহীবাগে দুই স্কুলছাত্রীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় দুই অপহরণকারীকে। আটকরা ওই দুই স্কুল ছাত্রীকে একটি ফ্লাটে আটকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। ছাত্রীদের ধর্ষণে জড়িত মিরাজ ও রিপনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
/এসএফ