এবার নারীদের নতুন আন্দোলনে ‘অন্তর্বাস’
এক কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে সাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নারীরা নিজেদের অন্তর্বাসের ছবি শেয়ার করে ‘হ্যাশট্যাগ দিস ইজ নট কনসেন্ট (এটা সম্মতি নয়)' লেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের ২৭ বছরের এক তরুণের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে।
সম্পর্কিত খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্ক শহরের ক্রিমিনাল কোর্ট ৬ নভেম্বর ওই ব্যক্তিকে ধর্ষণের দায় থেকে মুক্তি দেয়। শুনানি চলাকালে ওই ব্যক্তির আইনজীবি ভুক্তভোগী কিশোরীর অন্তর্বাস আদালতে নিয়ে হাজির করেন।
আসামির আইনজীবী বলেন ‘এই প্রমাণ থেকে এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না যে মেয়েটি ওই তরুণের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। তার সাজপোশাকের ধরনই তা বলে দিচ্ছে। না হলে মেয়েটি কেন লেসের অন্তর্বাস পরেছিল?'
পরে আটজন পুরুষ ও চার জন মহিলার জুরি বোর্ড ছেলেটিকে খালাস দেয়।
এই মামলায় আয়ারল্যান্ডের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জন্মায়। সেখানে বহু মহিলাই এই অন্তর্বাসের তথ্যের সঙ্গে সম্মতিকে সংযুক্ত করার যুক্তি অর্থহীন বলে মনে করেন।
সুসান ডিলন যিনি ‘আই বিলিভ হার—আয়ারল্যান্ড' টুইটার পেজের প্রতিষ্ঠাতা তিনি সিএনএন কে বলেন, আমরা ভেবেছিলাম ধর্ষিতকেই দোষী করার পুরনো সামাজিক মানসিকতা থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটেছে।' তারপরে তিনি হ্যাশট্যাগ দিস ইজ নট কনসেন্ট আন্দোলন শুরু করেন।
আইরিশ রাজনীতিবিদ রুথ কোপিঙ্গার রয়্যাল হাউস অফ পার্লামেন্টেও এর প্রতিবাদ করেন। সেখানে একটি কালো লেসের অন্তর্বাস দেখিয়ে তিনি বলেন, এটা ক্ষতিগ্রস্তকেই দোষারোপ করার রুটিন। তিনি ওই অন্তর্বাসটির ছবিও শেয়ার করেন টুইটারে।
তিনি বলেন,‘আমি শুনেছি যখন অন্তর্বাস দেখাই তখন ক্যমেরায় আমায় কেটে দেওয়া হয়েছিল। আদালতে ধর্ষিতার অন্তর্বাস দেখানো আইনসিদ্ধ হলে ডেইলে কেন নয়?